নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ফেড কাপে ইস্টবেঙ্গল-কালীঘাট এমএস ম্যাচ ঘিরে সন্দেহের জাল বোনা চলছিলই। মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে ইস্টবেঙ্গলের পাওয়া জোড়া পেনাল্টি গড়াপেটা-বিতর্ককেই উস্কে দিল। কলকাতায় তো মোহনবাগান এবং মহমেডান কতার্রা প্রতিবাদে সোচ্চার। মোহনবাগান সচিব অঞ্জন মিত্র বলে দিলেন, “আমি মাঠে ছিলাম না। তবে খবর পাচ্ছি ম্যাচ গড়াপেটা হয়েছে। ফেডারেশনের কাছে অবিলম্বে এই ম্যাচের তদন্ত দাবি করছি। ম্যাচ গড়াপেটার ঘটনা সব সময়ই তীব্র নিন্দনীয়।” মহমেডানের শীর্ষকর্তা কামারউদ্দিনের গলাতেও একই সুর। “এ ভাবে ম্যাচ গড়াপেটা হলে আখেরে ভারতীয় ফুটবলেরই ক্ষতি। আমি মনে করি ফেডারশনকে এ বিষয়ে আরও তৎপর হতে হবে। ইস্টবেঙ্গল-কালীঘাট ম্যাচের তদন্ত হওয়া উচিত।”
স্বভাবতই পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন ইস্টবেঙ্গলের অন্যতম শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে। দুই প্রধানের কর্তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তিনিও এই ম্যাচের তদন্ত দাবি করছেন। “মাঠে ম্যাচ কমিশনার সারাক্ষণ ছিলেন। তো তিনিই বলবেন, ম্যাচ গড়াপেটা হয়েছে, কী হয়নি। হ্যাঁ, তদন্ত করেই ম্যাচ কমিশনার সেটা বলুন। কারণ আমরা জানি ম্যাচ গড়াপেটা হয়নি। এবং এখন যাঁরা আমাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার, তদন্তের শেষে তাঁরা ভুল প্রমাণিত হওয়ার পরে ফেডারেশন যেন তাঁদের যথোচিত শাস্তি দেয়।”
ইস্টবেঙ্গল কর্তাটির পক্ষে আশ্বস্ত হওয়ার মতো এবং মোহনবাগান-মহমেডান শীর্ষকর্তাদের আশাভঙ্গের মতো মন্তব্য করলেন ফেডারেশন সচিব কুশল দাস। সাফ বলে দিলেন, “ইস্টবঙ্গল-কালীঘাট ম্যাচ গড়াপেটা হওয়ার কোনও সম্ভবনাই নেই। গড়াপেটার সামান্য সম্ভাবনাকে দুর করতেই মঙ্গলবারের দু’টো ম্যাচ একই সময়ে রাখা হয়েছিল। তা ছাড়া ইস্টবেঙ্গল তো পিছিয়ে ছিল। তিন গোল হজম করেছে। যে কোনও সময় ম্যাচটা হারতে পারত।”
তবে তাদের সেমিফাইনাল ম্যাচ পিছোতে এ দিন ফেডারেশনকে চিঠি দিয়ে প্রত্যাখ্যাত হল ইস্টবেঙ্গল। আটচল্লিশ ঘণ্টা পরেই সেমিফাইনাল খেলতে হবে চিডিদের। ম্যাচ পিছনোর আবেদন খারিজ করে দিয়েছে এআইএফএফ। স্বভাবতই চটেছেন লাল-হলুদ কর্তারা। দেবব্রতবাবু বললেন, “বাকি তিন দল সেমিফাইনালের আগে বিশ্রাম পেয়েছে। অথচ আমাদের এক দিন বাদেই সেমিফাইনাল খেলতে হচ্ছে। আমরা সব সময় ফেডারেশনের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছি। কিন্তু এর পর সহযোগিতা করব কি না ভাবব।” |