ধোনির বিরুদ্ধে ম্যাচে আইপিএলই
হাতিয়ার তাঁর চেন্নাই সতীর্থের

চেন্নাই সুপার কিংস ড্রেসিংরুমে যাঁদের সঙ্গে সময় কাটাতেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বযুদ্ধে আজ তাঁদের বিরুদ্ধেই স্ট্র্যাটেজি ঠিক করছেন অ্যালবি মর্কেল। এবং মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, সুরেশ রায়নাটিম ইন্ডিয়ার তিন তারাকে কক্ষচ্যূত করতে তাঁর অস্ত্র আইপিএল!
“আইপিএল আমাদের সবাইকে খুব কাছাকাছি নিয়ে এসেছে। আর ধোনিদের সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করাটা তো এখানে আমাকে সাহায্য করবেই। টিমকে ওদের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য দিতে পারব,” এ দিন বলেছেন মর্কেল। তবে তাঁর স্ট্র্যাটেজিতে যে উল্টো ফল হতে পারে, সেটাও ভুলে যাননি তিনি। আইপিএলে তাঁর সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা যে ২ অক্টোবরের ম্যাচে ধোনিদেরও সাহায্য করবে, সেটা মানছেন মর্কেল। “হ্যাঁ, ওরাও আমার খেলার ধরনটা জানে। ওরা যেমন নিজেদের খেলায় ছোটখাটো বদল আনবে, আমাকেও সেটা করতে হবে। দিনের শেষে একটা জিনিসই দুটো দলের মধ্যে তফাত গড়ে দেবে চাপের মুখে কে বেশি ভাল খেলল।”
সুপার এইটে তাঁদের গ্রুপটাই যে মারণগ্রুপ, মেনে নিচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকান অলরাউন্ডার। “ভারত আর পাকিস্তান, দু’দলই খুব ভাল ছন্দে রয়েছে। এখানকার উইকেট যে রকম, তাতে বল টার্ন করবে। আমাদের অন্য রকম প্রস্তুতি নিতে হবে,” বলেছেন মর্কেল। এ বারের বিশ্বকাপে বৃষ্টিও খুব বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা নিয়ে মর্কেলের বক্তব্য, “এই ব্যাপারটা তো কারও নিয়ন্ত্রণে নেই। তবে আমার মনে হয় এ রকম পরিস্থিতিতে আগে ব্যাট করাটাই ভাল। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আমাদের ম্যাচটা বৃষ্টিতে কমে সাত ওভারের হয়ে গিয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, দলের অবস্থা ঠিকঠাক বুঝে ওঠার আগেই ম্যাচ শেষ হয়ে যায়।”
মর্কেল ভাইদের মধ্যে বয়সে বড় অ্যালবিকে আইপিএলে অনেক বার মুশকিল-আসান ক্রিকেটার হিসেবে ব্যবহার করেছেন ধোনি। ব্যাটে কিছু বড় শট বা ডেথ ওভারে বোলিংঅ্যালবিই ছিলেন ধোনির ভরসা। তাই বলে একেবারেই আত্মতুষ্টিতে গা ভাসাচ্ছেন না মর্কেল। বরং তিনি মনে করেন গোটা টিমের সাহায্য না পেলে কোনও একজনের পক্ষে অলৌকিক কিছু করে দেখানো সম্ভব নয়। “ভাল টিম না পেলে কোনও ক্রিকেটারই একা লড়তে পারে না। বিপক্ষের উপর প্রভাব ফেলতে গেলে দলের এগারো জনই খুব গুরুত্বপূর্ণ। এক দিনে অন্তত তিন-চার জন ভাল না খেললে ম্যাচ জেতা যায় না। ছোট টিমগুলোতেও দু’তিন জন ভাল খেললে ওরা ম্যাচ জেতে,” বলছেন মর্কেল।

সুপার এইটে উঠলেও গুলদের ফর্ম নিয়ে চিন্তায় পাকিস্তান
পাক বোলারদের মার খাওয়ার ধাক্কাটা পুরোপুরি সামলে দিলেন পাক ব্যাটসম্যানরা। সুপার এইটে ওঠার পথে উমর গুলদের ব্যর্থতা ঢেকে দিলেন ইমরান নাজিররা।
আজ বাংলাদেশের সঙ্গে ৩৫ রানে হারলে সুপার এইটে ওঠার দৌড় থেকে ছিটকে যেতে হত পাকিস্তানকে। বাংলাদেশের শুরুটাও দারুণ হয়েছিল। সাকিব আল হাসানের ৮৪ রানের সুবাদে ২০ ওভারে তারা পৌঁছে যায় ১৭৫-৫। পাক বোলারদের মধ্যে একমাত্র ইয়াসির আরাফত ২৫ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন। তবে গুল তিন ওভারে ৪৩ এবং সোহেল তনবীর তিন ওভারে দিলেন ২৫ রান।
পাল্লেকেলের সহজ উইকেটে এর পর ব্যাট করতে নেমে নাজির এবং মহম্মদ হাফিজ শুরু থেকেই মারতে থাকেন। মাত্র ৩৬ বলে ৭২ করে যান ইমরান নাজির। যার মধ্যে রয়েছে ন’টা চার, তিনটে ছয়। হাফিজ করেন ৪৫। দুই ওপেনার মিলে ১৩ ওভারে ১২৪ রান তুলে দেওয়ার পর ম্যাচটা নিছকই নিয়মরক্ষার হয়ে যায়। জয়ের রান পাকিস্তান দু’ উইকেট হারিয়ে ১৮.৪ ওভারে তুলে নেয়। ম্যাচ শেষে পাক অধিনায়ক হাফিজ অবশ্য স্বীকার করলেন, পেসারদের ফর্ম নিয়ে তিনি কিছুটা উদ্বিগ্ন।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.