তাতেও থাকবে শূন্যপদ
৩৪৮ পদে নিয়োগ পঞ্চায়েত দফতরে
ঞ্চায়েতে কর্মী নিয়োগের জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরে। ইতিমধ্যেই ৩৪৮টি পদের জন্য আবেদন জমা পড়েছে ১ লক্ষ ৮৫ হাজার! আবেদনপত্র বাছাই করতেই হিমসিম খাচ্ছেন কর্মীরা। অবস্থা এমন যে অন্য দফতর থেকে কর্মী এনে কাজ করতে হচ্ছে। টানা ২০ দিন ধরে এই কাজ করে চলেছেন ২০ জন কর্মী! প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজোর আগেই পরীক্ষা নেওয়ার জন্য পদক্ষেপ করা হচ্ছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) অরিন্দম দত্ত বলেন, “যত দ্রুত সম্ভব পরীক্ষা নেওয়ার জন্য পদক্ষেপ করা হচ্ছে। বেশি আবেদন পড়ায় সেই কাজ করতে কিছুটা সময় লাগছে।”
যদিও এই নিয়োগ হলেই পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের শূন্যপদ পূরণ হয়ে যাবে এমন নয়। ৩৪৮ জন নিয়োগের পরেও এই দফতরে আরও ৬০৫টি পদ শূন্য থেকে যাবে! যাতে ওই পদেও নিয়োগের জন্য সরকার উদ্যোগী হয় সে বিষয়েও প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারকে জানানো হয়েছে। কারণ, পঞ্চায়েত দফতর অতি গুরুত্বপূর্ণ। যে দফতরের মাধ্যমে প্রত্যন্ত এলাকায় উন্নয়নের কাজ করা হয়। সেই দফতরে কর্মী সঙ্কট দেখা দিলে উন্নয়ন ব্যাহত হবে বলেই প্রশাসনিক কর্তাদের আশঙ্কা।
দফতরের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদও শূন্য। শূন্য জয়েন্ট বিডিও-র পদও! পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এতদিন জয়েন্ট বিডিও-র অনুমোদিত পদ ছিল ৩৮টি। বর্তমানে এই সংখ্যা বাড়বে। আগে সরকারি নির্দেশ ছিল, যে সমস্ত ব্লকে ১০টি-র বেশি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে সেখানে দু’টি করে জয়েন্ট বিডিও থাকবেন। বাকি ক্ষেত্রে ১ জন করে জয়েন্ট বিডিও। জেলায় মাওবাদী সমস্যা বাড়ার পর জঙ্গল মহলে উন্নয়নের উপর জোর দিচ্ছে সরকার। তাই জঙ্গল মহলের প্রতিটি ব্লকেই ২ জন করে জয়েন্ট বিডিও রাখার কথাও ঘোষনা করা হয়। জঙ্গলমহলে রয়েছে ১১টি ব্লক। তার বাইরে জেলার ৯টি ব্লকে ১০টির বেশি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে ১১টি ব্লকে। এর বাইরে জেলাস্তরে ৩ জন বিডিও থাকার কথা। একজন পঞ্চায়েত দফতর, ১ জন একশো দিনের প্রকল্পে ও ১ জন ট্রেনিং সেন্টারে থাকার কথা। স্বাভাবিক ভাবেই ২৯টি ব্লক নিয়ে তৈরি জেলায় ৪৯টি জয়েন্ট বিডিও থাকার কথা। কিন্তু বর্তমানে রয়েছেন মাত্র ২৭ জন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি রাজ্য সরকার বদলির নির্দেশ জারি করেছে। যাতে ১৪ জন জয়েন্ট বিডিওকে বদলির কথা বলা হয়েছে। পরিবর্তে ৮ জন জয়েন্ট বিডিও পাবে এই জেলা। ফলে এই পদে শূন্যতা আরও বাড়বে। এই পরিস্থিতি উন্নয়নের কাজেও ব্যাঘাত ঘটার আশঙ্কা রয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
এর বাইরেও ব্লক, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে আরও নানা শূন্যপদ রয়েছে। ব্লক স্তরে ১০টি পঞ্চায়েত ডেভেলপমেন্ট অফিসারের পদ শূন্য, ১২ জন পঞ্চায়েত অ্যাকাউন্টস ও অডিট অফিসারের পদ শুন্য, ২৯ জন উইমেন ডেভেলপমেন্ট অফিসারের মধ্যে রয়েছেন মাত্র ২ জন! ২৭টি পদই শূন্য। পঞ্চায়েত সমিতি স্তরে ক্যাশিয়ার কাম স্টোর কিপারের পদ রয়েছে ২৯টি। ২৯টি পদই শুন্য! ২৯জন ক্লার্ক কাম টাইপিস্টের মধ্যে রয়েছেন মাত্র ৪ জন। ২৫টি পদ শূন্য। ২৯ জন গ্রাম সেবকের পরিবর্তে রয়েছেন ৪ জন, ২৬টি পদ শূন্য। ১৬টি অফিস পিওনের পদ শূন্য।
বর্তমানে অবশ্য গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে কিছু নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রশাসন জানিয়েছে, পুজোর আগেই যাতে নিয়োগ পদ্ধতি শেষ করা যায় সে জন্য পদক্ষেপ করা হচ্ছে। তাতে অবশ্য শূন্য পদের এক তৃতীয়াংশ পূরণ হওয়ার কথা। এখন সেটাই প্রশাসনিক কর্তাদের কাছে, সুখবর।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.