কলেজ পরিচালন সমিতির শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদে উত্তেজনা ছড়াল। মঙ্গলবার হরিপাল বিবেকানন্দ মহাবিদ্যালয়ে ওই ঘটনায় অধ্যক্ষের ঘরের টেবিল এবং আলমারির কাচ ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে পুলিশ যায়। কলেজ কর্তৃপক্ষ অবশ্য কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি। অধ্যক্ষ অসীমকুমার সামন্ত বলেন, “মনোনয়ন জমা নিয়ে একটি ঘটনা ঘটেছে। কলেজে এই ধরণের ঘটনা মোটেই কাম্য নয়। নির্বাচনে সব পক্ষই যোগ দিতে পারে। আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।”
কলেজ ও প্রশাসন সূত্রের খবর, মঙ্গলবার ছিল শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনের মনোনয়ন জমার দিন। আসন সংখ্যা তিন। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক বেচারাম মান্নার ‘ঘনিষ্ঠ’ শিক্ষকেরা সব ক’টি আসনেই মনোনয়ন জমা করেন। স্থানীয় আর এক তৃণমূল নেতার ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত তিন শিক্ষক-শিক্ষিকাও পাল্টা মনোনয়ন জমা দিতে অধ্যক্ষের ঘরে ঢোকেন। অভিযোগ, বিধায়ক-গোষ্ঠীর লোকজনের বাধায় তাঁরা মনোনয়ন জমা করতে পারেননি। মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষই লোকজন জড়ো করেছিল কলেজ চত্বরে। অভিযোগ, বিধায়কের লোকেরা অধ্যক্ষের ঘরে ঢুকে গালিগালাজ করেন।
বর্তমান পরিচালন সমিতির সদস্য সুজিত কুমার বিধায়ক-বিরোধী গোষ্ঠীর বলেই পরিচিত। তিনিও এ দিন মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি। সুজিতবাবু বলেন, “ওরা যা করল, তাতে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসে গেল। অধ্যক্ষকে পুলিশ ডাকার অনুরোধ করি। উনি অবশ্য তা করেননি।” কর্তৃপক্ষ থানায় খবর না দিলেও ‘অন্য সূত্রে’ খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছয়। বেচারামবাবুর বক্তব্য, “সিপিএমের সঙ্গে মিলে এক দল ধান্দাবাজ লোক তৃণমূল সেজে অপপ্রচার চালাচ্ছে।” |