ইলিশের আদলে তৈরি দেড় কেজি ওজনের লাল-হলুদ সন্দেশটায় ছুরি পড়তেই হাততালিতে ফেটে পড়ল গোটা ক্লাবঘর। রবিবার বিকেলে এ ভাবেই উদ্বোধন হল বৈদ্যবাটি-শেওড়াফুলি ইস্টবেঙ্গল ফ্যানস্ ক্লাবের। স্থানীয় বিএসপার্ক ক্লাবের ঘরে ওই অনুষ্ঠান হয়। উপস্থিত ছিলেন ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন ফুটবলার দেবাশিস মুখোপাধ্যায়, সমীর চৌধুরী এবং ষষ্ঠী দুলে। সমর্থকদের উচ্ছ্বাসে এবং খেলার মাঠ ও মাঠের বাইরের স্মৃতিচারণে আবেগে ভাসলেন তিন জন প্রাক্তনী। ১৯৯১ সালের কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন লাল-হলুদের গোলরক্ষক ছিলেন দেবাশিস। গোটা লিগে তাঁকে টপকে ইস্টবেঙ্গলের জালে বল জড়াতে পারেনি কোনও দল। ১৯৮৬ সালের কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়ক ছিলেন সমীর চৌধুরী। আর, এক দশক আগে বিদেশের মাটিতে আশিয়ান কাপজয়ী লাল-হলুদের অন্যতম স্তম্ভ ছিলেন ষষ্ঠী। |
অতীতের ওই সব দিনের নানা উজ্জ্বল মূহূর্ত ভেসে উঠল ওঁদের গলায়। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে একই সঙ্গে ফুটবল এবং ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতার কথা বললেন দেবাশিস। মাঠে গিয়ে উগ্র আচরণ না করার আর্জি জানালেন সমর্থকদের কাছে। ফুটবল নিয়ে কবিতা শোনালেন সমীর। আক্ষেপ করলেন তবলা না থাকায়। কম যাননি ষষ্ঠীও। মৃদুভাষী এই মিডফিল্ডার নিজের লেখা গানও ধরলেন অনভ্যস্থ গলায়। গানের উপজীব্য? অবশ্যই ‘ইলিশের জয়’ এবং ‘চিংড়ির হার’। আশিয়ানে কী ভাবে বেক তেরো সাসানার চাইম্যানকে বোতলবন্দি করেছিলেন, তা-ও শোনালেন। মঞ্চে বসে অনুষ্ঠান উপভোগ করলেন বৈদ্যবাটির পুরপ্রধান অজয়প্রতাপ সিংহ (তিনি অবশ্য মোহনবাগান অন্ত প্রাণ) এবং শেওড়াফুলি ফাঁড়ির ইনচার্জ দেবাঞ্জন ভট্টাচার্য। এ দিন বিএস পার্ক ক্লাবের কর্মকর্তাদের হাতে এক সেট জার্সি তুলে দেওয়া হয় ইস্টবেঙ্গল ফ্যানস্ ক্লাবের তরফে। ঘটনাচক্রে রবিবারই শ্রীরামপুর মহকুমা ফুটবল লিগের খেলায় বিএস পার্ক আধ ডজন গোল দেয় বিপক্ষকে। আর ফেডারেশন কাপে ইস্টবেঙ্গল জয়লাভ করে। উদ্বোধনী দিনের নিরিখে এই ফলাফলকে ফ্যানস্ ক্লাবের কর্তারা বলছেন, ‘মধুরেণ সমাপয়েৎ’। |