প্রার্থী চাপাবে না দিল্লি |
লোকসভা, বিধানসভা ভোটে উপর (দিল্লি) থেকে প্রার্থী চাপিয়ে দেওয়ার রেওয়াজ ভাঙতে চাইছেন সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রাহুল গাঁধী। আজ রাঁচির নেপাল হাউসে আয়োজিত ঝাড়খণ্ড কংগ্রেসের এক সভায় রাহুল জানিয়েছেন, “নির্বাচনে উপর থেকে দলীয় প্রার্থী ঠিক করা হবে না। দলীয় প্রার্থী বাছাই হবে একেবারে নিচু তলা— দলের ব্লক এবং জেলাস্তর থেকেই।” একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, অন্তত এক বছর সক্রিয়ভাবে দলের কাজ করেছে কিনা, প্রার্থী বাছাইয়ের ভেত্রে দেখা হবে তাও। আজ রাহুলের সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ব্লকস্তর পর্যন্ত কংগ্রেস নেতৃত্ব। |
এ দিন বেলা পৌনে একটা নাগাদ বিশেষ বিমানে দিল্লি থেকে রাঁচিতে আসেন রাহুল গাঁধী। সেখান থেকে তিনি যান বিরসা চকে, বিরসা মুন্ডার প্রতিকৃতিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন রাহুল। বিরসা চকের অনুষ্ঠানের শেষ লগ্নে হঠাৎ কিছু বিজেপি কর্মী পতাকা হাতে ছুটে এসে রাহুল ‘গাঁধী মুর্দাবাদ’ স্লোগান দিতে থাকে। প্রতিরোধ করে উপস্থিত কংগ্রেস কর্মীরা। দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। পুলিশ লাঠি চালিয়ে বিজেপি কর্মীদের হটিয়ে দেয়। বিরসা চকের অনুষ্ঠান সেরে রাজ্য কংগ্রেস নেতাদের নিয়ে রাহুল যান রাঁচির ডোরান্ডায়, কেন্দ্রীয় সংস্থা মেকন-এর হলঘরে আয়োজিত ঝাড়খণ্ডের বিশিষ্ট গাঁধীবাদী নেতা টানা ভগতের অনুগামীদের এক অনুষ্ঠানে।রাহুল গাঁধীর রাঁচি সফরের প্রথম দিনের শেষ কমর্সূচি ছিল নামকুমের আর সি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। উপস্থিত দলীয় পঞ্চায়েত এবং পুর প্রতিনিধিদের সামনে মহাত্মা গাঁধীর স্বপ্নের পঞ্চায়েতরাজ গড়ে তোলার ডাক দেন রাহুল। বক্তৃতায় রাহুল বলেন, “আমি হিন্দুস্থানে আট বছর ধরে রাজনীতি করছি। পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় গাঁধীজির স্বপ্ন এখনও অধরাই। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সাংসদ এবং বিধায়করা ক্ষমতা ভোগ করেন।” উপস্থিত প্রতিনিধিদের উদ্দেশে রাহুল বলেন, “পঞ্চায়েতের নির্বাচিত সদস্য/সদস্যা হিসেবে যা চেয়েছিলেন, তা কি পেয়েছেন? পাননি তো! আমি চাই পঞ্চায়েতরাজের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক শক্তিকে উন্মুক্ত করতে। এর জন্য লড়াই শুরু করুন। আমি সঙ্গে থাকব।” |