|
|
|
|
কাঠগড়ায় তৃণমূল |
চাঁদা চেয়ে জুলুম, তদন্ত করায় থানায় ঢুকে তাণ্ডব |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
দুর্গাপুজোর চাঁদার জন্য ক্লাবের ছেলেরা জুলুম চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্তে গিয়েছিল। তার জেরে মঙ্গলবার রাতে বেলঘরিয়া থানায় ঢুকে তাণ্ডব চালাল ক্লাবের লোকজন। ক্লাবের সহ-সভাপতি সুশঙ্কর দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই হামলায় জড়িয়ে গিয়েছে তৃণমূলের নাম। পুলিশের অভিযোগ, হামলার সময় স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর সমীরণ দাসও থানায় হাজির ছিলেন। তবে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি।
পুলিশ জানায়, চন্দন সাহা নামে এক প্রোমোটার বেলঘরিয়ার বিপিননগরে আবাসন তৈরি করছেন। এলাকার একটি ক্লাব পুজোর জন্য তাঁর কাছে সাত হাজার টাকা চাঁদা চায়। তিনি সেই টাকা দিতে রাজি হননি। তাঁর অভিযোগ, সোমবার রাতে ক্লাবের সদস্যেরা নির্মীয়মাণ আবাসনের একটি বাড়িতে ঢুকে লক্ষাধিক টাকার ইমারতি দ্রব্য নষ্ট করে। কাউন্সিলর সমীরণবাবু ওই ক্লাবের অন্যতম কর্মকর্তা। তাঁকে সমস্যার কথা বলেও কোনও কাজ হয়নি বলে জানান চন্দনবাবু। এ দিন দুপুরে থানায় অভিযোগ করেন তিনি।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে থানায় ফিরে যায়। অভিযোগ, রাত ৯টা নাগাদ সুশঙ্করের নেতৃত্বে ক্লাবের শতাধিক সদস্য বেলঘরিয়া থানায় ঢুকে হামলা চালায়। থানায় কর্মীরা তাড়া করায় তারা পালিয়ে যায়। বেলঘরিয়ার অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, “মূল অভিযুক্ত ধরা পড়েছে। এলাকার কাউন্সিলরও হামলাকারীদের সঙ্গে ছিলেন। তদন্ত চলছে।” কিন্তু ওই কাউন্সিলরকে কেন গ্রেফতার করা গেল না, তার কোনও সদুত্তর মেলেনি।
কামারহাটির বিধায়ক ও পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র রাতে বলেন, “পুলিশকে নিরপেক্ষ তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেছি। দলের তরফেও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
পুলিশের ঘরে চুরি: হরিদেবপুর থানা এলাকায় এক পুলিশকর্মীর বাড়ি থেকে গয়না ও নগদ টাকা চুরি গিয়েছে। পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে স্বপন দেবনাথ নামে এক কনস্টেবলের বাড়িতে চুরি হয়। তখন বাড়িতে কেউ ছিলেন না। স্বপনবাবু চেতলা থানায় ডিউটিতে ছিলেন। তাঁর স্ত্রী এবং মেয়ে রাতে বাড়ি ফিরে চুরির কথা জানতে পারেন। পুলিশের অনুমান, পাইপ বেয়ে ছাদে উঠে ঘরে ঢুকেছিল দুষ্কৃতীরা। |
|
|
|
|
|