অবশেষে জট কাটছে চিপ ডিজাইনিং সেন্টারে |
গার্গী গুহঠাকুরতা • কলকাতা |
মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত জট কাটছে রাজ্যে চিপ ডিজাইনিংয়ের বিশেষ পরিকাঠামো গড়ার প্রকল্পে। ইন্ডিয়া ডিজাইন সেন্টার নামে ওই প্রকল্প নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে ২০০৭ সাল থেকেই। কিন্তু লাল ফিতের ফাঁসে আটকে তা পরিকল্পনা স্তরের বাইরে বেরোতে পারেনি এখনও। এ বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে সেই বাধা কাটতে চলেছে বলে জানান শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
সম্প্রতি এই ফাইলবন্দি প্রকল্প নিয়ে দ্রুত কাজ শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। পার্থবাবু জানান, এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সবুজ সংকেত পাওয়া গিয়েছে। এখন শুধু কাজ শুরুর অপেক্ষা। তাঁর দাবি, এই প্রকল্পে আর কোনও প্রশ্নচিহ্ন নেই। গত সপ্তাহে ঘোষিত রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি নীতিতে সফটওয়্যারের পাশাপাশি হার্ডওয়্যারেও সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাই সেই হার্ডওয়্যারের আঁতুড়-ঘর চিপ ডিজাইনিং শিল্পে লগ্নি টানতে এই প্রকল্প দ্রুত রূপায়িত করতে চায় রাজ্য সরকার। |
উল্লেখ্য, এই পরিকাঠামোর অভাবেই সম্প্রতি কলকাতা ছেড়ে বেঙ্গালুরু পাড়ি দিয়েছে চিপ ডিজাইনিং শিল্পের সঙ্গে জড়িত এই শহরের একমাত্র সংস্থা ইনটেরা সিস্টেমস। সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, পরিকাঠামোর চড়া ভাড়ার খরচ সামলে লাভের মুখ দেখা কঠিন হয়ে পড়েছিল তাদের পক্ষে। অথচ এ ধরনের সংস্থার লগ্নি টানতেই ইন্ডিয়া ডিজাইন সেন্টার তৈরির পরিকল্পনা করেছিল পূর্বতন বাম সরকার।
সল্টলেক সেক্টর ফাইভে প্রায় দু একর জমির উপর এই পরিকাঠামো তৈরির কথা ছিল। লক্ষ্য ছিল ১২০ কোটি টাকায় তৈরি ২৪ তলা বাড়িতে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও গবেষণাগার তৈরির। সব জানিয়ে ইন্টেল, ক্যাডেন্স, টেক্সাস ইনস্ট্রুমেন্টস, কোয়ালকম-এর মতো সংস্থাগুলির কাছে বিনিয়োগের প্রাথমিক প্রস্তাবও পাঠিয়ে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। প্রথমে মন্দা ও প্রশাসনিক গড়িমসির পর প্রকল্পের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় তথ্যপ্রযুক্তি ও নগরোন্নয়ন দফতরের মতবিরোধ। ‘ট্রান্সফার ফি’ সংক্রান্ত সেই বিতর্কের জেরে হাত গুটিয়ে নেয় লগ্নিকারী নির্মাণ সংস্থা। আটকে যায় ‘সাব-লিজ ডিড’ সই। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে এ বার সেই সমস্যা মেটার আশা করছে রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প। |