টুকরো খবর
পাঠাগারে অচলাবস্থা
বছর পাঁচেক ধরে স্থায়ী গ্রন্থাগারিক নেই খয়রাশোলের বড়রা গ্রামের নৃসিংহস্মৃতি পাঠাগারে। এই সময়ের মধ্যে ওই পাঠাগারের পরিচালন সমিতি গঠনের জন্য কোনও নির্বাচনও হয়নি। এমন অব্যবস্থায় পড়ে থাকার জন্য সরকার পোষিত গ্রামীণ পাঠাগারটির উন্নতি তো হয়নি বরং ক্রমশ অবনতি হচ্ছে বলে দাবি গ্রন্থাগারের পাঠককুলের একাংশের। তাঁদের দাবি, মাস ছয়েক আগে সমস্যার সমাধানের জন্য জেলা গ্রন্থাগারিকের হস্তক্ষেপ চেয়ে বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী লিখিত আবেদন করেছিলেন। কোনও সুরাহা হয়নি। ওই পাঠাগার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত গ্রন্থাগারটি আপাতভাবে চালান প্রফুল্ল মণ্ডল নামে এক কর্মী। বর্তমানে কাগজে কলমে পাঠকের সংখ্যা ৬০০ হলেও নিয়মত পাঠক কমে দাঁড়িয়েছে ২৫০-৩০০ জন। অবশ্য এ জন্য গ্রন্থাগারের অব্যবস্থার দিকেই আঙুল তুলেছেন ওই গ্রন্থাগারের পরিচালন সমিতির এক সময়ের সম্পাদক গৌরাঙ্গ মিত্র। তিনি বলেন, “অপ্রয়োজনীয় বই বাছাই, স্থায়ী গ্রন্থাগারিকের অভাব এবং পরিচালন সমিতির নির্বাচন না হওয়ায় পাঠকদের কাছে ক্রমশ আকর্ষণ হারাচ্ছে এই পাঠাগার।” একই বক্তব্য পাঠক তীর্থ ঘাঁটি, রঞ্জিত মিশ্রদেরও। স্থায়ী গ্রন্থাগারিকের অভাবে সমস্যা যে হচ্ছে তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন গ্রন্থাগারের কর্মী প্রফুল্লবাবুও। তিনি বলেন, “দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রগড়িয়ার গ্রন্থাগারিক মাসে দু-একদিন এসে কাজ সামলে যান। তবে বাকি দিনগুলিতে অসুবিধা হয়।” একটি বৈঠকে ব্যস্ত থাকায় পরে ফোন করতে বলেন জেলা গ্রন্থাগারিক সুমন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে ফোনে তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যায়নি।

উদাসীনতার অভিযোগ
ক্লাসের মধ্যে মারামারি করার সময়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে এক ছাত্রী। অথচ স্কুল কর্তৃপক্ষ ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেরি করেছে বলে অভিযোগ অভিভাবকদের। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটে মুরারইয়ের চাতরা গণেশলাল উচ্চ বিদ্যালয়ে। অসুস্থ একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সুফিয়া নাসরিনের বাবা সামসুদ্দিন আহমেদের দাবি, “দু’ঘণ্টা পরে স্কুলে পৌঁছে দেখি টির্চাস রুমে মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে আছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের উদাসীন মনোভাব দেখে নিজে গাড়ি ডেকে মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।” স্কুলের শিক্ষক দোস্ত মহম্মদ বলেন, “ক্লাস নেওয়ার সময়ে কোনও কিছু বুঝতে পারিনি। ক্লাস শেষ হওয়ার পরে দু’জন ছাত্রী আমাকে ঘটনার কথা বলে। তখন আমি দুই শিক্ষিকাকে ডেকে ওই ছাত্রীকে টিচার্সরুমে নিয়ে যাই। চোখেমুখে জল দেওয়ার পাশাপাশি বাড়িতে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে অভিভাবকেরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। তাঁরা যা দাবি করছেন তা ঠিক নয়।”

চুরির তদন্তে বিশেষজ্ঞ
ছবি: সব্যসাচী ইসলাম।
তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের রামপুরহাটের কার্যালয় থেকে কম্পিউটার চুরির ঘটনার তদন্তে মঙ্গলবার এসেছিলেন সিআইডির ‘ফিঙ্গার প্রিন্ট’ বিশেষজ্ঞ দীপঙ্কর চক্রবর্তী। আজ, বুধবার গোয়েন্দা দফতরের লোক এনে ওই এলাকায় ছবি তোলার পাশাপাশি গোয়েন্দা বিভাগের কর্তারা তদন্ত করে দেখবেন বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবার রাতে এই চুরির ঘটনা ঘটে। জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “ঘটনার তদন্ত জেলা পুলিশ করছে। আমাদের কাছে যেহেতু ‘ফিঙ্গার প্রিন্ট’ বিশেষজ্ঞ নেই সে জন্য সিআইডির ওই বিশেষজ্ঞ এসেছেন। এখনও কেউ ধরা পড়েনি। কম্পিউটার উদ্ধারে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।”

সভাপতি নির্বাচন
চতুর্থবারের জন্য বোলপুরে পূর্ণিদেবী চৌধুরী মহিলা মহাবিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হলেন লোকসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। তিনি আগামী তিন বছরের জন্য নির্বাচিত হন। কলেজের জন্মলগ্ন থেকেই তিনি এই পদে রয়েছেন। মঙ্গলবার নির্বাচন হয়। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি তথা বিশ্বভারতীর অধ্যাপক সভার সম্পাদক কিশোর ভট্টাচার্য সভাপতি পদের জন্য সোমনাথবাবুর নাম প্রস্তাব করেন। রামপুরহাট কলেজের অধ্যাপক বুদ্ধদেব মুখোপাধ্যায় ওই প্রস্তাবে সমর্থন জানান। পরিচালন সমিতিতে ১২ জন সদস্য রয়েছেন। তাঁরা ধ্বনি ভোটে সোমনাথবাবুকে নির্বাচিত করেন। এতে খুশি সোমনাথবাবু।

যুবকের অপমৃত্যু
অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম অরুণ লেট (২৯)। বাড়ি নলহাটি থানার পানিটা গ্রামে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সোমবার বিকেলে সকলের অবর্তমানে ওই যুবক গায়ে আগুন লাগায়। রাতে মৃত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়।

দুর্ঘটনায় মৃত্যু
বাস থেকে নামতে গিয়ে চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ের। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম দেবীপ্রসাদ বিশ্বাস (৫৫)। বাড়ি মুরারই থানার নতুনগ্রামে। মঙ্গলবার সকালে সিউড়ি থেকে ওই প্রৌঢ় বাড়ি ফিরছিলেন। রামপুরহাট বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.