কলেজের বিবিএ, বিসিএ বিভাগে অচলাবস্থা দূর করার দাবিতে পথ অবরোধ করলেন বর্ধমান রাজ কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সমর্থকেরা। প্রায় দু’ঘন্টা এই অবরোধ চলে। পরে পুলিশ গিয়ে অবরোধ তোলে। ছাত্রদের বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে বিবিএ এবং বিসিএ বিভাগের অফিসে তালা ঝুলছে। প্রাক্তন কো-অর্ডিনটার ভূতনাথ ঘোষাল চলে যাওয়ায় পর থেকে বিভাগটি চালাতে সমস্যা হচ্ছে। শংসাপত্র ও ভাতা পাওয়া, ভর্তি ইত্যাদি নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু অফিস খোলার ব্যাপারে প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। |
অধ্যক্ষ সুভাষচন্দ্র নন্দীর বক্তব্য, “চাবি ফেরত দেওয়ার জন্য প্রাক্তন কো-অর্ডিনেটরকে জেলাশাসকের দফতর, উচ্চশিক্ষা দফতর, উপাচার্যের দফতর থেকে বারবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। অবশেষে ১৩ সেপ্টেম্বর আমরা আদালতের দ্বারস্থ হই। সিজেএম আদালত ১৭ সেপ্টেম্বর একটি নির্দেশ দিয়েছে। তাতে বর্ধমান থানার আইসি-কে ২৫ তারিখের মধ্যে সমস্ত তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। সেই বিষয়ের মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত ওই বিভাগের শিক্ষকদের বেতন দেওয়া যাচ্ছে না। নতুন কো-অর্ডিনেটর তারকেশ্বর মণ্ডলকে বারান্দায় বসে কাজ করতে হচ্ছে।” তবে এ দিন ভূতনাথবাবুর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তিনি ফোনও ধরেননি।
এ দিন যেখানে অবরোধ হয় তার কিছুটা দূরেই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ। অবরোধের প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমূলের ছাত্র পরিষদেরই অপর একটি গোষ্ঠী। তাদের নেতা শুভায়ু সাহা, অভিজিৎ ধীবরদের দাবি, এ ভাবে অবরোধ করা উচিত হয়নি। এর জেরে এ দিন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বহু রোগীকে কষ্ট পেতে হয়েছে। হয়রান হয়েছেন তাঁদের আত্মীয়েরাও। অবরোধকারীদের নেতা মহম্মদ আজহারউদ্দিন, শেখ কুতুবুদ্দিনদের দাবি, “ছাত্রদের দুর্দশার জন্যই অবরোধ করেছি।” |