লাগাতার দুর্ঘটনা এড়াতে পানাগড়ে জাতীয় সড়কের পাশে বাইপাস গড়ার জন্য তৎপরতা শুরু হল বিধানসভায়। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ওই সংকীর্ণ অংশে দুর্ঘটনায় জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যুর প্রসঙ্গ বিধানসভায় দৃষ্টি আকর্ষণী প্রস্তাবে উল্লেখ করেছিলেন গলসির বিধায়ক সুনীল মণ্ডল।
পরের পর দুর্ঘটনার ফলে ওই এলাকার মানুষের ক্ষোভ যে বাড়ছে, তা জানাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। বিধায়কের আলোচনা হয় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও। এই ঘটনাপ্রবাহের জেরে শেষ পর্যন্ত রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী সুদর্শন ঘোষ দস্তিদারকে নোটিস দিয়ে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছেন স্পিকার।
বিধায়ক সুনীলবাবুর অভিযোগ, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের গড়িমসির জন্যই সমস্যা এই জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে। বিধানসভায় তিনি জানান, সরকারি নিয়ম ও জাতীয় সড়ক নির্মাণের নির্দিষ্ট নীতি থাকা সত্ত্বেও এনএইচ-২ কর্তৃপক্ষ তৎপরতা দেখাচ্ছেন না। গত শনিবারই দুর্গাপুরের এডিডিএ হলে এনএইচ-২ কর্তৃপক্ষ, সাংসদ, বিধায়ক ও স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে একটি বৈঠক হয়। তার পরেই বিষয়টি স্পিকারের নজরে আনেন বিধায়ক। দুর্ঘটনার এই প্রাবল্য ছাড়াও যানজটে আশেপাশের এলাকার কী সমস্যা হচ্ছে, পূর্তমন্ত্রীর কাছেও তা ব্যাখ্যা করে রাস্তার কাজ দ্রুত শুরু করার দাবি জানিয়েছেন সুনীলবাবু। তাঁর বক্তব্য, স্পিকার উদ্যোগী হয়ে পূর্তমন্ত্রীকে বিষয়টি দেখতে বলায় জট কাটে কি না, এলাকার মানুষ সেই অপেক্ষায় আছেন। |