সিটি সেন্টারের পিয়ালা কালীবাড়ির কাছে গণধর্ষণে জড়িত সন্দেহে ধৃত আট জনের জামিন ফের নাকচ হল। মঙ্গলবার দুর্গাপুর আদালতে তোলা হলে তাদের ফের ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলে গিয়ে কয়েক জনকে চিহ্নিতও করেছেন অভিযোগকারিণী ও তাঁর স্বামী। পুলিশের দাবি, ধৃতদের জেরা করে আরও এক জনের নাম মিলেছে। তবে তাকে এখনও ধরা যায়নি। |
গত ৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ আসানসোল থেকে ফেরার সময়ে জাতীয় সড়কের পাশে এক তরুণীকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। পিয়ালা কালীবাড়ির কাছে ওই ঘটনার সময়ে আট-দশ জন দুষ্কৃতী তাঁর স্বামীকে মারধর করে আটকে রেখেছিল বলে অভিযোগ। আসানসোলের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অংশীদার ওই মহিলা পুলিশকে জানিয়েছেন, এক চিকিৎসকের গাড়িতে তিনি ওই এলাকায় পৌঁছেছিলেন। মোটরবাইকে চেপে তাঁকে নিতে এসেছিলেন তাঁর স্বামী। তাঁদের বিধাননগরের বাড়ির দিকে রওনা দেওয়ার আগে রাস্তার ধারে প্রাকৃতিক কাজ সারতে গেলে কয়েক জন তাঁর উপরে চড়াও হয়।
দুষ্কর্ম সেরে চলে যাওয়ার সময়ে দুষ্কৃতীরা তরুণী ও তাঁর স্বামীর মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। কোনও রকমে সিটি সেন্টারের একটি এটিএম কাউন্টারে পৌঁছে সেখানকার নিরাপত্তারক্ষীর থেকে মোবাইল নিয়ে তাঁরা পুলিশকে খবর দেন। তদন্তে নেমে ছিনতাই হওয়া দুই মোবাইলের ‘টাওয়ার লোকেশন’ ধরেই পুলিশ পরের রাতে পিয়ালা গ্রাম থেকে ১১ জনকে গ্রেফতার করে। তার মধ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এক কিশোর বাদে সকলেই স্থানীয় একটি ছাপাখানায় অস্থায়ী ঠিকাকর্মী। ১৫ সেপ্টেম্বর আরও এক জন গ্রেফতার হয়। গত শনিবার রাতে ধরা হয় আরও দু’জনকে। সকলেই আপাতত জেল হাজতে। |