খুচরো ব্যবসায় প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) প্রশ্নে তৃণমূল, বাম এবং বিজেপি-র বিরোধিতার মোকাবিলায় এ বার রাজ্যে পাল্টা প্রচারে নামতে চলেছে প্রদেশ কংগ্রেস। তাদের পাল্টা মত, বাংলার কৃষিজীবীদের স্বার্থেই খুচরো ব্যবসায় এফডিআই দরকার। প্রদেশ সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “এফডিআই কখনও সাধারণ মানুষ, বিশেষত কৃষকদের কাছে ক্ষতিকারক হতে পারে বলে আমরা মনে করি না।” এটাই প্রচারে তুলে আনতে চাইছে কংগ্রেস।
কৃষিপণ্য বাজারে বিক্রি করার ক্ষেত্রে ‘ফড়ে ব্যবসায়ীদের’ হস্তক্ষেপের সমস্যা রয়েছে জানিয়ে প্রদীপবাবু বৃহস্পতিবার বলেন, “লোকসভা ভোটে তৃণমূলের ইস্তাহারেও ফড়েদের অত্যাচার অবিলম্বে বন্ধ করার কথা বলা হয়েছিল। তা হলে আজ কেন এফডিআইয়ের বিরোধিতা করছে তৃণমূল? ফড়ের জায়গায় এফডিআই এসে যদি ন্যায্য দাম দিয়ে কৃষকের ঘর থেকে পণ্য কিনে নিয়ে যায়, অন্যায়টা কোথায়?” রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে তাঁর বক্তব্য, “এ বার রাজ্যের অধিকাংশ কৃষকই সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করতে পারেনি। সরকার নিজেদের ‘কৃষক-দরদি’ বললেও এই ব্যাপারে যে পদক্ষেপ দরকার ছিল, তা হয়নি। তা ছাড়া, জনসংখ্যার বিচারে কলকাতা ছাড়া রাজ্যের অন্য শহরে এফডিআই চালুর সম্ভাবনা কম। তা হলে তৃণমূলের এত উষ্মা কেন?” |
যাঁদের ‘স্বার্থরক্ষা’য় এফডিআই-বিরোধী বন্ধ, আক্রান্ত তাঁরাই। জামশেদপুরে। ছবি: পার্থ চক্রবর্তী |
মূলত এফডিআই, ডিজেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করছেন। আজ, শুক্রবার তাঁর দলের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের পদত্যাগ করার কথা। তৃণমূল নেত্রীকে তাঁদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য ফের অনুরোধ জানিয়েই প্রদীপবাবু বলেছেন, “ডিজেলের দাম বাড়িয়ে কেন্দ্র অন্যায় করেছে বলে মনে করি না।” ডিজেলের দাম বৃদ্ধির প্রয়োজন এবং রাজ্যে এফডিআই-এর উপযোগিতা নিয়েই প্রদেশ কংগ্রেস ব্যাপক প্রচারের পরিকল্পনা করছে। তবে প্রদীপবাবু জানান, আজ দিল্লিতে চূড়ান্ত পরিস্থিতি কী হয়, তা দেখার পরেই তাঁরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। রাজ্য মন্ত্রিসভা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেও প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব এআইসিসি-র সঙ্গে আলোচনা করবে।
|
ধর্মঘট সমর্থনে নেমে রাতভর পুলিশ হাজতে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ধর্মঘটের সমর্থনে পথে নেমে ধৃত এসইউসি এবং সিপিআই (এম-এল) লিবারেশন সমর্থকদের মুক্তি মিলল না। সচরাচর এই ধরনের গ্রেফতারের ঘটনায় পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার ধর্মতলায় অবরোধ করার জন্য লিবারেশনের ৩১ জন এবং শ্যামবাজারে মিছিল করার দায়ে এসইউসি-র দুই মহিলা-সহ ১৪ জন সমর্থককে গ্রেফতার করার পরে রাতভর লালবাজারের লক-আপেই তাঁদের রেখে দেওয়া হয়েছে। দু’দলের নেতৃত্বেরই অভিযোগ, ধৃতদের জামিন-অযোগ্য ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। লালবাজারের লক-আপ থেকেই লিবারেশনের শ্রমিক সংগঠন এআইসিসিটিইউ-এর রাজ্য সম্পাদক বাসুদেব বসু জানিয়েছেন, পুলিশের এই আচরণের প্রতিবাদে তাঁরা রাতের খাবার ‘বয়কট’ করেছেন। পুলিশ-কর্তারা অবশ্য এই নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। |