টুকরো খবর
গল্ফ কোর্সে দুই সিংহ
পিতা-পুত্র।
আঙুলের চোট সারিয়ে সদ্য গল্ফের ময়দানে ফিরেছেন ছেলে। তাঁর উৎসাহ বাড়াতেই হিগাশি হিরোনো গল্ফ ক্লাবের পাহাড়ি চড়াই-উতরাই পেরিয়ে পুরো আঠারো হোল-এর কোর্সে দিনভর তাল মিলিয়ে পাশে পাশে স্বচ্ছেন্দে হাঁটলেন বাবা। বিরাশিতেও টগবগে! বিরাশিতেও অদম্য! এশিয়া-প্যাসিফিক প্যানাসনিক ওপেনের প্রথম রাউন্ডে বাবা মিলখা সিংহকে এ ভাবে পাশে পেয়ে আপ্লুত জীব মিলখা সিংহ। বলেই ফেললেন, “বাবাকে দেখে আমি সত্যিই তাজ্জব! এই বয়সেও এই পাহাড়ি কোর্সের গোটাটা হাঁটলেন! অবিশ্বাস্য!” এশীয় ট্যুরে ছ’টি খেতাবের মালিক জীব আঙুলে চোট নিয়ে মাঝে ক’সপ্তাহ গল্ফের বাইরে ছিলেন। চোট সারিয়ে এ দিনই প্রথম নামলেন। এবং চার-আন্ডার ৬৭ স্কোর করে চলে এলেন যুগ্ম একাদশ স্থানে। জীবের সঙ্গে বাবা মিলখা ছাড়াও আছেন স্ত্রী কুদরত। গল্ফারের কথায়, “ওরা দু’জনেই আজ আমার পাশে পুরো আঠারো হোল হেঁটেছে। আগামী পাঁচ সপ্তাহ ট্যুরে সঙ্গেই থাকবে।” জীবের আঙুলে এখনও সামান্য অস্বস্তি রয়েছে। “আঙুলের যত্ন নিচ্ছি। ঠিকঠাক ওষুধও লাগাচ্ছি যাতে আবার না ফুলে ওঠে,” বলেছেন জীব। জীবের মতোই ৬৭ স্কোরে শিব কপূরও। দু’জনেই লিডারবোর্ডে এক নম্বর, জাপানের য়ুতা ইকেদার থেকে পাঁচ শটে পিছিয়ে। এ দিন নয়-আন্ডার ৬২ করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন ইকেদা। দুই-আন্ডার ৬৯ স্কোরে ৪১তম স্থানে ভারতের চিরাগ কুমার। গত সোমবার তাইপেতে খেতাব জয়ী গগনজিৎ ভুল্লার আবার রীতিমতো চাপে। তিনি ও কলকাতার শিবশঙ্কর প্রসাদ চৌরাসিয়া এ দিন ৭৪ স্কোর করে যুগ্ম ১১০ নম্বরে। মাথায় ঝুলছে কাট ফস্কানোর খাঁড়া। দিগ্বিজয় সিংহ আর হিম্মত রাই তো আরও পিছনে, ১২০তম স্থানে। তুলনায় ভাল অবস্থা অনির্বাণ লাহিড়ি আর জ্যোতি রণধাওয়ার। ৭২ স্কোর নিয়ে দু’জনে যুগ্ম ৮০তম স্থানে।

মহমেডান-চমক
মুক্তার ও অলোক। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস
কাঞ্চনজঙ্ঘায় প্রথম ম্যাচেই অঘটন! ডুরান্ড কাপ জয়ীদের হারিয়ে দিল অলোক মুখোপাধ্যায়দের মহমেডান। ফেডারেশনের স্পনসর আই এম জি-র ব্যর্থতায় দেশের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট বৃহস্পতিবার দেখতে পেলেন না ফুটবলপ্রেমীরা। যে চ্যানেলের সঙ্গে তারা কথা চালাচ্ছিল তাদের সঙ্গে ঝামেলায় বন্ধ হয়ে গেল সম্প্রচার। যা নজিরবিহীন। ফেডারেশনের অবশ্য তাতে মাথাব্যথা আছে বলে মনে হচ্ছে না। এত বড় টুর্নামেন্ট শুরু হচ্ছে অথচ ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট বা সচিব এলেনই না। ভাইস প্রেসিডেন্ট সুব্রত দত্তকেই সব সামলাতে হচ্ছে। টিভিতে সম্প্রচার না থাকায় ফুটবলপ্রেমীরা দেখতে পেলেন না বাইশ গজ দূর থেকে মহম্মদ মুক্তারের দুর্দান্ত শটের অসাধারণ গোল। দেখা গেল না ডেভিড সানডের দুটো শট পোস্টে লেগে ফেরার দৃশ্য। জয়ন্ত সেনের দুর্দান্ত শটে গোল করার চেষ্টা। ম্যাচের পর অলোক মুখোপাধ্যায় আক্ষেপ করলেন, “ম্যাচটা ৫-০ জিততে পারতাম।” অলোকের দাবি ভুল নয়। তবে এটা লিখে দেওয়া যায় মহমেডান যা খেলল তাতে মোহনবাগান বা চার্চিলের চিন্তা বাড়তে বাধ্য।

সিকিম-হিমশিম
ফেড কাপের শুরুতেই কি ভাইচুং ভুটিয়ার স্বপ্নভঙ্গ হল? বৃহস্পতিবার জামশেদপুরে প্রথম ম্যাচে পুণে এফসি-র কাছে ১-০ হেরে সেই আশঙ্কাই কিন্তু ঘুরপাক খেতে শুরু করে দিল ইউনাইটেড সিকিমকে ঘিরে। ভাইচুয়ের দলকে আটকে দিলেন জাতীয় দলের বাতিল ফুটবলার জেজে। নিজেকে প্রমাণ করার প্রাণপন তাগিদ আর দৃঢ় আত্মবিশ্বাসের দাপটেই সেমিফাইনালের দরজা প্রায় বন্ধ সিকিমের। যা দাঁড়াচ্ছে, প্রয়াগ, সালগাওকর কিংবা পুণে এফসি-র মতো দলকে টপকে শেষ চারের টিকিট পেতে এখন বড় চকমের আশায় থাকতে হবে ফিলিপ ডি’রাইডারের দলকে। যদিও সিকিম কোচ ম্যাচের পরে জামশেদপুর থেকে ফোনে বললেন, “আমাদের আসল লক্ষ্য আই লিগ। অনুশীলনের অভাবে এখনও বোঝাপড়া তৈরি হয়নি ফুটবলারদের। তাই ফেড কাপের স্কোর নিয়ে বেশি চিন্তা ভাবনা করছি না।” রাইডারের কথাতেই স্পষ্ট যে হার নিয়ে তেমন মাথাব্যথা নেই। বরং আই লিগের প্রস্তুতি টুর্নামেন্ট হিসেবেই ফেড কাপকে বেছে নিয়েছেন ভাইচুংরা।

প্রয়াগ-পতন
ফেড কাপের শুরুতেই বড় ধাক্কা প্রয়াগ ইউনাইটেডের। বৃহস্পতিবার প্রথম ম্যাচেই সালগাওকরের কাছে ১-০ গোলে হারল সঞ্জয় সেনের দল। শুরু থেকে ম্যাচের রাশ অবশ্য নিজেদের হাতেই রেখেছিলেন কার্লোস-গৌরমাঙ্গিরা। কিন্তু গোলের মুখ খুলল না শুধু গোল নষ্টের বদভ্যাসে। সালগাওকরের হয়ে একমাত্র গোল অ্যান্টোনি ডি’সুজার। ম্যাচের শেষে হতাশ প্রয়াগ কোচ জামশেদপুর থেকে ফোনে বললেন “এত সুযোগ নষ্ট হলে জেতা যায় না। শুধু ভাল খেলাই যথেষ্ট নয়। ফুটবলে গোল করতে হয়। আর সেটাই হল না।”এ দিনের হারে মাঠ বড় ভূমিকা নিয়েছে মনে করছেন প্রয়াগ কোচ। মাঠের জঘন্য অবস্থা দেখে বিরক্ত র্যান্টি-কালোর্সরাও। ম্যাচের পর র্যান্টি বলছিলেন, “সহজ সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারেনি ঠিকই। তবে মাঠের জন্য আমরা আমাদের নিজেদের খেলাটাও ঠিক করে খেলতে পারেনি।”

১০ উইকেটে জয় কালিসদের
ঝড়ের নাম জাক কালিস। ব্যাট হাতে নয়, বল হাতে বৃহস্পতিবার হাম্বানটোটা কাঁপালেন দক্ষিণ আফ্রিকার ৩৬ বছরের অলরাউন্ডার। টস জিতে জিম্বাবোয়েকে ব্যাট করতে পাঠান এবি ডে’ভিলিয়ার্স। এ দিন কালিস (৪-১৫) ঝড়ে মাত্র ৯৩ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবোয়ের ইনিংস। ব্যাট করতে নেমে কোনও উইকেট না হারিয়ে রিচার্ড লেভি (৫০) আর হাসিম আমলা (৩২) জুটি মাত্র ১২.৪ ওভারে জয়ের রান তুলে নেয়। গ্রুপের দুটো ম্যাচই হেরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল জিম্বাবোয়ে। “শ্রীলঙ্কার পিচের জন্য আমরা একশো শতাংশ তৈরি,” বলেছেন ডে’ভিলিয়ার্স।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.