ইসলাম-বিরোধী সিনেমার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠল ইসলামাবাদ। আজ বিক্ষোভকারীরা কূটনৈতিক এলাকা ‘রেড জোনে’ ঢোকার চেষ্টা করে। ওই এলাকাতেই রয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের দূতাবাস। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনা নামানো হয়।
বিতর্কিত সিনেমাটির প্রতিবাদে বিশ্বের নানা প্রান্তে বিক্ষোভ ও হামলার মুখে পড়েছে আমেরিকা। পাকিস্তানের করাচি ও দির এলাকায় বিক্ষোভে আগেই নিহত হয়েছেন দু’জন। তা সত্ত্বেও আজ বিক্ষোভের তীব্রতা ইসলামাবাদ পুলিশ আদৌ আঁচ করতে পারেনি বলে মনে করা হচ্ছে। দুপুর দু’টো নাগাদ ‘রেড জোনে’র বাইরে জড়ো হতে শুরু করে বিক্ষোভকারীরা। তাদের বেশির ভাগই ছিল ছাত্র সংগঠন জমিয়ত-ই-তালেবার সদস্য। কিন্তু ঘণ্টা দু’য়েক পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় জামাত-উদ-দাওয়া তথা লস্কর-ই-তইবা, আহল-ই-সুন্নত ওয়াল জামাত, সিপাহ-ই-সালাবার মতো সংগঠনের সদস্যরাও। রাওয়ালপিন্ডিতে জামাত ও অন্য সংগঠনগুলির একটি সভা ছিল। সেখান থেকে গাড়ি, ট্রাকে দলে দলে ইসলামাবাদে ঢুকে পড়ে তারা। নিরাপত্তাবাহিনীকে লক্ষ করে পাথর ছোড়া শুরু হয়। ঘটনায় বেশ কয়েক জন পুলিশ-সহ ৮৬ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ ও আধা-সামরিক বাহিনী রেঞ্জার্সের দু’টি পোস্ট পুড়িয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ চলে। ‘রেড জোনে’র কাছেই পাঁচতারা হোটেল ‘সেরেনা’। তার সামনেও জড়ো হয় বেশ কিছু বিক্ষোভকারী। আমেরিকা ও প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিল বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে শেষ পর্যন্ত সেনাবাহিনীকে খবর দেয় অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক। সেনা নামার পরে ধীরে ধীরে বিক্ষোভ বন্ধ হয়ে যায়। পাক তথ্যমন্ত্রী কামার জামান কাইরা বলেছেন, পাক সরকার নিজেই সিনেমাটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। তাই ইসলামাবাদে এই ধরনের বিক্ষোভের কোনও প্রয়োজন ছিল না। ‘রেড জোনে’ রয়েছে ভারতীয় হাইকমিশনও। হাইকমিশনের কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে হাইকমিশনার শরদ সাবরওয়ালের সঙ্গে কথা বলেছেন বিদেশমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণ। |