|
|
|
|
ভয় কী, আমি জীবন কাটাব
|
গৌতম ভট্টাচার্য • কলম্বো |
আপনি যদি ক্যানসার রোগী হন এবং ভারতের যে কোনও প্রান্তে আপনার আস্তানা হোক, সাহারনপুর, মোগলসরাই বা কলকাতা হঠাৎ আপনার সেলফোন বেজে উঠলে উল্টো দিকে হয়তো শুনতে পাবেন একটা পরিচিত কণ্ঠস্বর। যে বলছে, ‘হাই আই অ্যাম যুবরাজ সিংহ’। আশ্চর্য হবেন না। ধরে নিতে পারেন, সত্যিকারের যুবরাজের সঙ্গেই কথা বলছেন!
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষ দিনও যুবরাজ স্বীকৃত ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের উদ্ধত, উচ্ছৃঙ্খল প্লে-বয় হিসেবে। সেন্ট লুসিয়ায় ভারতের দ্রুত বিশ্বকাপ বিদায়ে উত্তেজিত সমর্থকদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ায় সহ-অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছিল তাঁর। দ্রুত দল থেকেও বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। দু’বছর তিন মাস বাদে আরও একটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে নামছেন যেন জীবনের ফাস্ট ফরোয়ার্ড মোশনের সুইচটা টিপে দিয়ে। ‘প্লে-বয়’ ছাপ্পা ওই ভারত মহাসাগরের দূর প্রান্ত থেকে নিক্ষিপ্ত। তিনি যুবরাজ সিংহ এখন এক চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটার এবং আরও তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ক্যানসার-বিরোধী ধর্মযাজক!
বুধবার প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অভিযান। মহেন্দ্র সিংহ ধোনি টানা তিন বার এই ফর্ম্যাটে বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। যা বিরল ব্যাপার। সমস্যা হল, নিছক ক্রিকেটীয় হিসেব। স্টিভ ওয়-র ভাষায়, “ক্রিকেট যদি একটা বুদবুদ হয়, জীবন তা হলে সমুদ্র।” আর সেই সমুদ্রের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে আগ্রহ স্রেফ যুবরাজের জন্য। চণ্ডীগড়বাসী তাঁর ছোটবেলার বন্ধু এ দিন বলছিলেন, “কালকের ম্যাচটা শুধু চণ্ডীগড়ের ক্রিকেটাররা মুগ্ধ হয়ে দেখবে না, গোটা চণ্ডীগড় মেডিক্যাল কলেজও হাঁ করে গিলবে।” বিপক্ষ আফগানিস্তান। কিন্তু তারা পাকিস্তান হলেও বাড়তি কিছু আসত-যেত না। যুবরাজ নিজেই এখন বহন করছেন নিজের নাগরিকত্ব। যার নাম ক্যানসারজয়ীর বিশ্বমঞ্চে পুনরাবির্ভাব!
ভারতীয় অনুশীলনে সচিন তেন্ডুলকর থাকলে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগের দিন তাঁকে নিয়ে যেমন কাড়া-নাকাড়া বাজতে থাকে, এ দিন স্থানীয় এনসিসি ক্রিকেট ক্লাবে যুবরাজ নিয়ে তেমনই আবেগ! যেখানে যাচ্ছেন, যা করছেন, ক্যামেরা! ধোনি এসে জিজ্ঞেস করলেন প্র্যাক্টিস শেষে, “কোন গানটা তোমার শুনতে ইচ্ছে করছে?” ভারতীয় দল সঙ্গে মিউজিক সিস্টেম নিয়ে ঘোরে। ড্রেসিংরুমে লাগায়। ১৮৮৮ সালে তৈরি এই প্রাচীন ক্লাবে কাপড়ের ছাউনির তলায় অস্থায়ী তাঁবু। আর সেখানেই মিউজিক সিস্টেম রাখা। এমনিতে যুবরাজের কাছে সবচেয়ে অনুপ্রেরণামূলক গান ‘ওয়েভিং ফ্ল্যাগ’। দক্ষিণ আফ্রিকায় ফুটবল-বিশ্বকাপের সময় গানটা শোনেন আর তার পর থেকেদুঃসময়ে সারাক্ষণের সঙ্গী করে রেখেছেন যে, ‘চরম দুর্যোগেও জীবনের পতাকা উত্তোলন থেকে পিছিয়ে যেও না’। এখানে সেই গানটা বোধহয় নেই। তাই ফরমায়েশ করলেন হিন্দি ছবির সাম্প্রতিক র্যাপ গানের। ধোনি সেটাই চালিয়ে দিলেন। যুবরাজের ডান কাঁধের পাশে দেখলাম ট্যাটু করা। লেখা ‘টুয়েলভ’। বারো সংখ্যাটা বরাবর তাঁর লাকি নম্বর। কিন্তু একটা উড়ে যাওয়ার সিম্বলও পাশে। এটা অবশ্যই নতুন ট্যাটু হয়েছে মনে হল। সেই একই থিম রানওয়েতে ঘষটাতে ঘষটাতে থেমে যেও না। সমস্যা যত জটিলই হোক, তোমার মন যেন টেক-অফ করতে পারে। পরিচিত মহিলা সাংবাদিককে দেখতে পেয়ে ডাকলেন, “তোমাদের ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদ আমার ভাল লাগেনি। আমাকে এত টায়ার্ড দেখিয়েছ কেন?” |
|
অবিশ্বাস্য যুবরাজের কাহিনি! যা শুনলে সময় সময় মনে হবে বাস্তব আর উপন্যাসের মাঝখানে তা হলে কি কোনও করিডরই নেই। মনে হবে, ক্যানসারের মতো মারণ রোগের সামনে পড়ে কী করে এই ভাবে জীবনের জয়ডঙ্কা বাজানো সম্ভব? বিশেষ করে যে রোগীর ফুসফুসে ম্যালিগন্যান্ট টিউমারের সাইজ ছিল ১৫ X ১১/১৩ সেন্টিমিটার। ক্রিকেট বলের মতো। মিডিয়ায় ভুল বেরিয়েছিল, ‘গল্ফ বলের আকৃতির’। তার চেয়ে অনেক বড়। আর যেটা বার হয়নি। পরিস্থিতি ছিল গভীর দুর্যোগের স্টেজ থ্রি ক্যানসার। যুবরাজ পরে জানতে পেরেছেন, এই জানুয়ারিতে যখন ইন্ডিয়ানাপোলিসে কেমোথেরাপি শুরু হয়, মৃত্যু থেকে তিনি সাড়ে তিন মাস দূরে ছিলেন! পরে এ-ও জানতে পারেন, ২০১১ বিশ্বকাপ তিনি ভারতকে জিতিয়েছেন মাত্র একটা ফুসফুসে।
জার্ম সেল টিউমারটা বাসা বেঁধেছিল অন্য ফুসফুসের ঠিক ওপরে। খাদ্যনালী আর শ্বাসনালীতে ক্রমাগত চাপ দিচ্ছিল। বিশেষ করে খাদ্যনালীতে। তাই তাঁর বিশ্বকাপ চলাকালীন, এমনকী চার মাস বাদে কলকাতায় টেস্ট খেলতে এসেও ক্রমাগত বমি হয়ে যাচ্ছিল। একদিন তো রক্তবমি হয়। বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের দিন।
ডিসেম্বরে যুবরাজের আত্মজীবনী বার হচ্ছে যার নাম, ‘ইন ডিফারেন্ট ফর্মস।’ নামকরণের মর্মার্থ, জীবন বিভিন্ন রকম ফর্ম নিয়ে মানুষের জীবনে হাজির হয়। কখনও মেঘ। কখনও রোদ্দুর। সবেতেই অবিচলিত থেকে কী ভাবে তিনি পথ চলেন, বইটা তারই রুদ্ধশ্বাস বৃত্তান্ত। সাহসের পাশাপাশি এই গভীর দুর্যোগে ভাগ্যের টুকরো সহায়তাও কেমন মানিক্যের মতো সম্পদশালী করেছে তাঁর জীবনকে, সেটাও লিখছেন। যেমন, ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজ খেলতে যাওয়ার আগে ডাক্তার তাঁকে সতর্ক করে দিলেন, মনে হচ্ছে তোমার ক্যানসার হয়েছে। সফরে যেও না। যুবরাজ উত্তর দেন, “টেস্ট ক্রিকেটে সাফল্যের জন্য আমি পাগল (৩৭ টেস্টে মাত্র ১৭৭৫ রান, গড় ৩৪)। যদি টেস্টে রান করতে করতে মারা যাই তো ভি আচ্ছা। কিন্তু যাব।” এর পর ট্রেন্টব্রিজে দ্বিতীয় টেস্টে স্টুয়ার্ট ব্রডের বলে আঙুল ভেঙে যায় তাঁর। দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হন। আজ বুঝতে পেরেছেন ক্যানসার চিকিৎসায় এটাও ছিল টার্নিং পয়েন্ট। দেশে ফিরলেন বলে চিকিৎসা তাড়াতাড়ি শুরু হল। যদি দলের সঙ্গে থেকে যেতেন, মৃত্যু আরও দু’মাস কাছে চলে আসত!
যুবরাজ এটাও ভাবেননি যে দূর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসার জন্য যেতে হবে। ভেবেছিলেন ইংল্যান্ডে চিকিৎসা করাবেন। ক্যানসার চিকিৎসায় প্রথম তিনি যানও লন্ডনে, নামী ক্যানসার বিশেষজ্ঞ ডাঃ পিটার হার্পারের কাছে। ইনি বলেন, “জার্ম সেল ক্যানসারের কেমোথেরাপি প্রোটোকল গোটা বিশ্বে এখন মোটামুটি স্ট্যান্ডার্ডাইজড। তবু আমি ক্রিকেট ভালবাসি। তোমাকে ভালবাসি। আমার ছেলের যদি হত, আমি পাঠাতাম অ্যামেরিকায় ডাঃ লরেন্স আইনহর্ন-এর কাছে।” আইনহর্ন প্রবাদপ্রতিম ক্যানসার চিকিৎসক। চিকিৎসা করে সারিয়েছিলেন ল্যান্স আর্মস্ট্রংকে। আর্মস্ট্রংয়ের ক্যানসারের হাল আরও খারাপ অবস্থায় ছিল। যুবরাজ জানতে পারেন, কেমোতে প্ল্যাটিনাম গ্রুপের ওষুধ ব্যবহার করেন আর্মস্ট্রং। যেটা মেশানোয় খুব তাড়াতাড়ি কাজ হয়।
|
যুদ্ধের ডায়েরি |
রোগ: ক্রিকেট বলের আকারের ম্যালিগন্যান্ট টিউমার
ক্যানসার কোন পর্যায়ে: গ্রেড থ্রি
কেমোর ঠিক আগে: তিন-চার মাস দূরে নিশ্চিত মৃত্যু
চিকিৎসকেরা: দিল্লির ক্যানসার বিষেশজ্ঞ নীতীশ রোহতাগি, আমেরিকায় ডাক্তার লরেন্স আইনহর্ন
কেমোর প্রোটোকল: প্ল্যাটিনাম গ্রুপ অফ ড্রাগস দিয়ে চিকিৎসা
সাহস দিলেন: হরভজন, জাহির, কোহলি, গেইল, ওয়ার্ন, পিটারসেন
আমেরিকায় কুম্বলে কাটিয়েছেন দু’রাত।
লন্ডনে হাজির সচিন
আর যিনি: বোর্ড প্রেসিডেন্ট শ্রীনিবাসন। বিশ্বকাপ জয়ের আগেও তেমন ‘কাছের’ ছিলেন না
তখন শুনতেন: ‘ওয়েভিং ফ্ল্যাগ’ গানটা..এখনও আইপডে রোজ
এ বার লক্ষ্য: ১) ১৫ নভেম্বর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট দলে থাকা
২) ক্যানসার নিয়ে দেশব্যাপী প্রচার
নবরূপে: নভেম্বর থেকে টিভি শো ‘জিন্দেগি আভি বাকি হ্যায়’
আত্মজীবনী: ডিসেম্বরে ‘ইন ডিফারেন্ট ফর্মস’
উপলব্ধি: “ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধের পর আর কিছুতেই টেনশন হয় না।” |
|
ইন্ডিয়ানাপোলিসে এ বছর জানুয়ারিতে প্রথম আইনহর্নের সাক্ষাৎ পান যুবরাজ। তার আগে আইনহর্নকে পাচ্ছিলেন না। তিনি ছিলেন অস্ট্রেলিয়ায়। দেখা হতে ডাক্তার প্রথমেই জানতে চান, তোমার পরের টুর্নামেন্ট কবে? টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সেপ্টেম্বরে জেনে বলেন, “ওহ, কোনও চিন্তা কোরো না, ওটাতে তুমি খেলছ।” অথচ কেমোথেরাপি চলার সময় এবং তার পর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ায় রীতিমত অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন যুবরাজ। ঘনিষ্ঠরা ভেবেছিলেন শেষের প্রথম ধাপ বুঝি শুরু হয়ে গেল। দিনে তখন সত্তরবার করে বমি হচ্ছে। সব চুল উঠে গিয়েছে। জল অবধি গলা দিয়ে ঢুকছে না। এরই মধ্যে ভারতের সব নিউজ চ্যানেল ইন্ডিয়ানাপোলিস উড়ে আসার ছক করে ফেলেছে। হাসপাতালের ছবি তারা দেখাতে চায়। গলায় টিউব। মৃত্যুপথযাত্রী যুবরাজ। প্রত্যক্ষদর্শী এক বন্ধু বলছিলেন, অসহনীয় সেই অভিজ্ঞতা। একদিন রাত্তির আড়াইটের সময় যুবি মা-কে ঘুম থেকে তুলে বলল, মা আমায় ওমলেট করে দেবে? সারা দিন কিছু পেটে পড়েনি। অন্তত বমি করার জন্যও কিছু খাই। এ দিকে চ্যানেল আসছে খবর পেয়ে ওর সম্মতি নিয়ে যুবির ম্যানেজার দ্রুত চিঠি লিখল এনবিএ-কে (ন্যাশনাল ব্রডকাস্টিং অথরিটি)। লিখল, নিউ ইয়র্কে সনিয়া গাঁধীর কঠিন চিকিৎসার সময়ে যদি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যম সংযম দেখাতে পারে, যুবরাজের বেলা অন্যথা হবে কেন? এনবিএ মেনেও নেয় সেই অনুরোধ। ভারত থেকে আর কোনও চ্যানেল অতঃপর অতলান্তিক পেরোয়নি।
আজ যুবরাজের তা নিয়ে মিডিয়ার বিরুদ্ধে ক্ষোভ অবশিষ্ট নেই। কিন্তু ফিল্ম নির্মাতাদের ক্ষমা করতে পারছেন না। তাঁর মতে, “‘আনন্দ’ থেকে ‘কল হো না হো’ এই যে ভারতীয় হিন্দি সিনেমা সব সময় ক্যানসার হওয়াকে একটা মৃত্যু পরোয়ানা হিসেবে দেখায়, এটা অসহ্য। ওরা কখনও বলে না ইউএস ফাইটার পাইলট বা নেভি সিল অফিসাররা অনেকেই ক্যানসার সারিয়ে তাঁদের কাজে ফিরেছেন। ভারতীয় সমাজে ক্যানসার নিয়ে নেতিবাচক এ সব ধ্যানধারণা বদলাতেই টিভি শো করতে রাজি হয়েছি জিন্দেগি আভি বাকি হ্যায়।” যা থেকে পাওয়া সব টাকা যাবে যুবরাজের ক্যানসার ফাউন্ডেশনে।
ক্রিকেটে ফেরার পর তাঁকে ঘিরে আবেগ যতটা, সেই অনুযায়ী পারফরম্যান্স কয়েক ভগ্নাংশও নয়। ক্যাচ তুলে রক্ষা পাওয়া চেন্নাইয়ের ৩৪ রানের পর প্রথম প্র্যাক্টিস ম্যাচে ১১। বলে এখনও কোনও ধার নেই। প্রাক্তন টিম মেট আকাশ চোপড়ার মতো কেউ কেউ চ্যানেলে বলেই ফেলেছেন, ধোনির টিম সাজাতে এত সমস্যা হচ্ছে। সেন্টিমেন্ট বাদ দিয়ে ভেবে দেখুক, এই ফর্মের যুবরাজকে সত্যি দরকার কি না।
যুবরাজ নিজে অবশ্য অখণ্ড আত্মবিশ্বাসী। শুনলাম কোনও ট্যাবলেট-ফ্যাবলেট খাচ্ছেন না। মনে করছেন সম্পূর্ণ সুস্থ, নিরোগ শরীর এখন তাঁর। টি-টোয়েন্টি খেলে উঠেই নামবেন দলীপ ট্রফিতে। একটা মাস পুরো দেবেন টেস্ট ক্রিকেটের জন্য প্রয়োজনীয় ফিটনেস গড়তে। লক্ষ্য ১৫ নভেম্বর থেকে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আমদাবাদ টেস্টে চূড়ান্ত এগারোয় থাকা। টেস্টে তাঁকে সফল হতেই হবে। এই স্বপ্নটা তাড়া করা থামাচ্ছেন না।
ক্যানসার চিকিৎসায় যারা সর্বক্ষণ পাশে ছিল তাদের একটা অলক্ষুণে ভয় অবশ্য ধিকিধিকি রয়েছে। লোকে বলে পুরনো মন গেলে আর ফেরে না। কিন্তু পুরনো রোগজীবাণু যদি ফেরে? যদি আবার মারণরোগ দেখা দেয়? যুবরাজের পঞ্জাবি-জাঠ মনন এই সংশয়কে মাঠের বাইরে ফেলে দিচ্ছে এই বলে যে, “তা হলে কি আমি সর্বক্ষণ বাড়িতে ভয়ে ভয়ে বসে দিন কাটাব নাকি যে, রোগটা এই আবার ফিরল। এই আবার ফিরল। ধুস। আমি জীবন কাটাতে চাই।” শুনে বন্ধুরা বলছেন, এটা ওর পক্ষেই সম্ভব যে কেমোর থার্ড সাইকেলে ওরকম প্রায় মৃত অবস্থাতেও রসবোধ হারায়নি। তখনও বন্ধুদের পেছনে লাগছিল।
তা যুবরাজের জীবন কাটানোর নতুন মেনুতে নম্বর জোগাড় করে সম্পূর্ণ অচেনা ক্যানসার রুগিকে ফোনে মোটিভেট করাও চলছে। গত দু’মাসে উত্তর ভারতের পনেরো জনকে ফোন করেছেন। কে বলতে পারে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যাওয়ার পর একদিন আপনার পরিচিত ড্রয়িংরুমে ফোন বেজে উঠবে না হাই দিস ইস যুবরাজ সিংহ! |
|
|
|
|
|