বেআইনি কাঠ কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে সাসপেন্ড হওয়া এক আধিকারিক-সহ চার বনকর্মীর শাস্তির নির্দেশ প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনে নামলেন বনকর্মী সংগঠনের সদস্যরা। মঙ্গলবার ওয়েস্টবেঙ্গল ফরেস্ট সার্ভিস এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের সদস্যরা কোচবিহার বন্যপ্রাণ বিভাগের ডিএফও’র দফতরের সামনে দিনভর অবস্থান বিক্ষোভ করেন। স্পষ্ট আশ্বাস না মেলায় আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন ফেডারেশনের সদস্যরা। কোচবিহারের বন্যপ্রাণ বিভাগের ডিএফও রাজেন্দ্র জাখর বলেন, “ওই কর্মীদের বাড়ি থেকে কিছু কাঠ উদ্ধার হয়েছিল। বন কর্মীদের সংগঠনের বক্তব্য ও অভিযোগ আমরা খতিয়ে দেখব।” ঘটনার কথা জানতে পেরেছেন বনমন্ত্রী হিতেন বর্মনের কাছেও। বনমন্ত্রী বলেন, “বিষয়টি ডিএফওকে তদন্ত করে দেখতে বলা হয়েছে। তিনিই যা পদক্ষেপ নেওয়ার নেবেন।” বন দফতর সূত্রের খবর, ৩ সেপ্টেম্বর জলদাপাড়া পূর্ব রেঞ্জের বিট অফিসার হরিহর বর্মন সহ ৪ কর্মীকে সাসপেন্ডের নির্দেশ দেন তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত ডিএফও। তাঁদের আবাসন থেকে উদ্ধার হওয়া কাঠগুলি বৈধ নয় বলে বন কর্তারা জানান। বনকর্মীদের তরফে বারবার জানানো হলেও ওই নির্দেশ প্রত্যাহার করা হয়নি। এদিন ডিএফও’র অফিসের সামনে অবস্থান, বিক্ষোভ স্লোগান চলে দিনভর। ওয়েস্টবেঙ্গল ফরেস্ট সার্ভিস এমপ্লয়িজ ফেডারেশিনের কোচবিহার ডিভিশনের সম্পাদক মনতোষ ধর বলেন, “ওই বিট অফিসার ছাড়াও সাসপেন্ড হওয়া কর্মীদের মধ্যে দুই জন বনরক্ষী, একজন মাহুত রয়েছেন। সকলেই নিরপরাধ। বন কর্তাদের একজনের সঙ্গে গোলমালের জেরে তাঁদের ফাঁসানো হয়েছে।” দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে, জলদাপাড়ার এক বন কর্তার সঙ্গে স্থানীয় বন কর্মীদের একাংশের মতবিরোধ কিছুদিন থেকেই বাড়ছিল। অগস্ট মাসের শেষে তা চরম আকার নেয়। আধিকারিক ও কর্মীরা প্রকাশ্যে বিবাদেও জড়িয়ে পড়েন। তার কয়েকদিনের মধ্যেই ওই বিট অফিসার সহ চার কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়। |