বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কাই ক্রমশ সত্যি হতে চলেছে। আর্থিক সংস্কার নিয়ে কেন্দ্রের বলিষ্ঠ পদক্ষেপ সূচককে চাঙ্গা করে তুললেও রাজনৈতিক ডামাডোল শেয়ার বাজারকে অনিশ্চিত করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা ছিল বিশেষজ্ঞদের। কেন্দ্রের ইউপিএ সরকারে থাকা না-থাকা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে, এই খরবে শেয়ার বাজারের তেজী ভাব পুরোটাই উবে যায়। এর আগে টানা ন’দিন ধরে উঠলেও এ দিন থমকে যায় সূচকের উত্থান। তৃণমূল ইউপিএ ছেড়ে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেয় বজার বন্ধ হওয়ার অনেক পরে। ফলে পরবর্তী লেনদেনে বাজারে এর আরও বেশি প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। মঙ্গলবার সেনসেক্স পড়ে যায় ৪৬.৩০ পয়েন্ট। বাজার বন্ধের সময় তা এসে দাঁড়ায় ১৮,৪৯৬.০১ অঙ্কে।
তবে কেন্দ্র আর্থিক সংস্কারের সিদ্ধান্তে অটল থাকলে রাজনৈতিক ডামাডোলের ভয় বাজার শীঘ্রই কাটিয়ে উঠবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের অনেকেই। এর অন্যতম কারণ, ভারতের বাজারের প্রতি বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির আস্থায় রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা চিড় ধারাতে পারেনি। পিটিআইয়ের খবর, গত ৯ দিনে ওই সব সংস্থা ভারতের বাজারে প্রায় ৮,০৩৩ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছে। গত সোমবারই তারা লগ্নি করেছে ২,২৫২ কোটিরও বেশি। এ প্রসঙ্গে বাজার বিশেষজ্ঞ এবং ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের ডিরেক্টর এস কে কৌশিক বলেন, “বাজারের ওঠাপড়া প্রধানত নির্ভর করে দেশের আর্থিক অবস্থার উপর। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা সাময়িক সমস্যা সৃষ্টি করলেও বেশি দিন তার বিরূপ প্রভাব থাকতে পারে না।”
শেয়ার বাজারে বিদেশি লগ্নিই টাকার দামের পতন এ দিন রুখে দিয়েছে। বিদেশি সংস্থাগুলি ডলার ভাঙিয়ে টাকায় পরিণত করেই শেয়ারে লগ্নি করে। তাই এই লগ্নির ফলে বাড়ে বিদেশি মুদ্রার জোগানও। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়ে টাকার উপর।
আজ বুধবার গণেশ চতুর্থী উপলক্ষে বাজার বন্ধ। তাই রাজনৈতিক ডামাডোল ছাড়াও তার আগের দিন নতুন করে শেয়ার কিনতে তেমন আগ্রহ ছিল না বলে বাজার সূত্রের খবর। |