১০০ দিনের প্রকল্পে রাস্তা সংস্কারের কাজে যন্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ উঠল রাজনগরের ভবানীপুর পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, সম্প্রতি ওই পঞ্চায়েত এলাকার গোলাপগঞ্জ থেকে শীর্ষা মুসলিমপাড়া পর্যন্ত প্রায় এক কিমি রাস্তাটিতে মোরাম ফেলার কাজে স্থানীয় জবকার্ডধারী শ্রমিকদের কাজে না লাগিয়ে মাটি কাটার যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। প্রতিবাদে মঙ্গলবার এলাকাবাসীরা পঞ্চায়েত প্রধান এবং রাজনগরের বিডিও-র কাছে লিখিত ভাবে জানিয়ে প্রতিকারের দাবি করেছেন। কেন জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান সুনিশ্চতকরণ প্রকল্পে যন্ত্র ব্যবহৃত হল এ নিয়ে সরব তৃণমুলও।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকাবাসীর দাবি মেনে গোলাপগঞ্জ থেকে শীর্ষা মুসলিমপাড়া পর্যন্ত প্রায় এক কিমি রাস্তা সংস্কারের কাজে হাত দেয় পঞ্চায়েত। দিন কয়েক আগেই ওই রাস্তায় মোরাম দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা সদানন্দ মণ্ডল, শেখ সেকিম, শেখ আলাউল এবং ছবিলাল বাউড়িরা বলেন, “রাস্তাটি হলে গোলাপগঞ্জ, শীর্ষা মুসলিমপাড়া, কোঁড়াডাঙাল ও আমোদপুর-সহ চার-পাঁচটি গ্রামের মানুষের সুবিধা হয়। তাই যখন রাস্তার কাজ শুরু হয়েছিল তখন খুশিই হয়েছিলাম। তবে কোন প্রকল্পের অধীনে কাজ হচ্ছে সেটা জানা ছিল না। পরে জানতে পারি কাজটি ১০০ দিনের প্রকল্পের মাধ্যমে হচ্ছে। অথচ জবকার্ডধারীরা কাজ পেলেন না।” সদানন্দবাবুদের দাবি, “স্থানীয় জবকার্ডধারী শ্রমিকদের কাজে না লাগিয়ে টানা দু’দিন ধরে মাটি কাটার যন্ত্র এবং গোটা পাঁচেক ট্রাক্টর ব্যবহার করে অনুমানিক ৩০০ গাড়ি মোরাম ফেলা হয়েছিল। পরে সেগুলি সমান করার জন্য কিছু শ্রমিককে কাজে লাগায় পঞ্চায়েত। সেই জন্যই প্রতিবাদ করেছি।” একই বক্তব্য তৃণমূল নেতা বামপদ ঘোষেরও।
সিপিএম পরিচালিত ভবানীপুর পঞ্চায়েতের প্রধান অর্কেন্দু ঘোষ বলেন, “এক ঠিকাদারকে মোরাম ফেলার কাজের বরাত দেওয়া হয়েছিল। মাটি (মোরাম) কাটা ও তা বিছানোর কাজ জবকার্ডধারী শ্রমিকদেরই করার কথা। কিন্তু আমাদের অজান্তে একদিন যন্ত্র ব্যবহার করে সেই ঠিকাদার। খবর পাওয়া মাত্রই তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এবং বেআইনি কাজ করার জন্য সেই ঠিকাদারকে আর কোনও কাজ এবার থেকে দেওয়া হবে না সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” রাজনগরের বিডিও প্রভাংশু হালদার বলেন, “পঞ্চায়েতে খোঁজ নিচ্ছি। ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” |