এক কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মাধ্যমিকের জাল শংসাপত্র বিক্রির অভিযোগ করলেন লাভপুরের বিধায়ক মনিরুল ইসলাম। সোমবার পুলিশের কাছে তিনি এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। বোলপুরের এসডিপিও প্রশান্ত চৌধুরী বলেন, “লাভপুর থানায় ওই কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে জাল শংসাপত্র বিক্রির লিখিত অভিযোগ হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের খোঁজে তল্লাশি চলছে।” |
এই শংসাপত্র ঘিরে অভিযোগ। ছবি: সোমনাথ মুস্তাফি। |
অভিযুক্ত লাভপুর শম্ভুনাথ কলেজের ওই শিক্ষক লাভপুরের রেজেস্ট্রি অফিসপাড়ার বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় পঞ্চায়েতের সিপিএমের প্রাক্তন সদস্যও বটে। তৃণমূল বিধায়ক মনিরুল ইসলামের অভিযোগ, “ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বেশ কিছুদিন ধরেই অভিযোগ আসছিল। সত্যতা যাচাইয়ের জন্য আমরা স্থানীয় দুই যুবককে পাঠায়। ওই শিক্ষক টাকার বিনিময়ে তাঁদের জাল শংসাপত্র বানিয়ে দিয়েছেন। তারপরই তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানাই।” ফোনে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত শিক্ষক অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, “আমাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হচ্ছে।”
এ দিকে, কলেজ অধ্যক্ষ হরিচরণ দাস বৈরাগ্য বলেন, “এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। অভিযোগ প্রমাণিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” অন্য দিকে, সিপিএমের লাভপুর জোনাল কমিটির সম্পাদক পল্টু কোঁড়া-র দাবি, “ওই শিক্ষক বর্তমানে আমাদের সদস্য নন। দলের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।” |