তৃণমূল নেত্রী তথা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির ছুড়ে দেওয়া ছাতার বাটের আঘাতে পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ জখম হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। রবিবার তুফানগঞ্জের নিউটাউন এলাকায় তৃণমূলের একটি কর্মী বৈঠক চলাকালে ওই ঘটনা ঘটেছে। জখম পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের নাম রতন দাস। যাঁর সঙ্গে গোলমালের জেরে রতনবাবু জখম হন বলে অভিযোগ, তিনি তুফানগঞ্জ-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীপালি রায়। বৈঠকের ঘরের বাইরে দুই জনে কথা-কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন। ছাতা নিয়ে হাতাহাতির সময় রতনবাবুকে সভাপতি বাঁট দিয়ে আঘাত করেন বলে অভিযোগ। জখম পূর্ত কর্মাধ্যক্ষকে মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। পরিস্থিতির জেরে বৈঠক শেষ করে দেওয়া হয়। দলের তুফানগঞ্জ-১ ব্লক সভাপতি ফজল করিম মিঁয়া বলেন, “আজ, মঙ্গলবার পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও ব্লক কমিটির সবাইকে নিয়ে বর্ধিত সভা ডাকা হয়েছে। সেখানেই ঘটনার বিশদ আলোচনা হবে।” দলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছেন বলে জানিয়েছেন। সোমবারও দু’জন পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সরব হন। সভাপতি দীপালিদেবী বলেন, “রতনবাবু আমাকে মারবেন বলেই মোটা রডের ছাতা নিয়ে সভায় এসেছিলেন। কথা কাটাকাটির সময় উনি তা দিয়ে আমার ওপর চড়াও হলে আমি প্রতিরোধ করেছি। সেই সময় উনি সামান্য চোট পান। আমাকে ছাতা দিয়ে মারলে তো বড় বিপদ হত।” রতনবাবু বলেন, “বাজে কথা। সভাপতি আচমকা আমার ছাতা কেড়ে নিয়ে হামলা চালান। মাথায় চোট পেয়েছি। দলের ব্লক, জেলা নেতৃত্বকে সব জানিয়ে সুবিচার চেয়েছি।” গোলমালের কারণ ব্যাখা করতে গিয়ে কর্মাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন সভাপতি। কর্মাধ্যক্ষ অনুগামীরা পাল্টা তোপ দেগেছেন সভাপতির বিরুদ্ধে। দীপালি দেবীর কথায়, “ঠিকাদারদের সঙ্গে মিলে উনি দুর্নীতি করছেন। রবিবার তা নিয়ে কথা বলতে চাওয়ায় উনি ফের মেজাজ হারান।’’ আর রতনবাবু বলেন, “ওঁর সঙ্গে কথা বলার কী আছে। আমার নামে কোনও দুর্নীতির অভিযোগ নেই। যিনি বলছেন তাঁর বিরুদ্ধেই বিভিন্ন দুর্নীতির খবর হয়েছে।” কর্মী বৈঠকে অতিথি ছিলেন তুফানগঞ্জ বিধায়ক অর্ঘ্য রায়প্রধান। বিধায়ক বলেন, “আমি বৈঠক থেকে চলে আসার পরেই গোলমালের খবর পাই। যা বলার দলের নেতৃত্বকে বলব।” |