আগামী ২০ সেপ্টেম্বর শিলিগুড়িতে ফেডারেশন কাপ শুরুর আগেই ম্যাচের টিকিট নিয়ে হাওয়া গরম হয়ে উঠল। ভিআইপি এবং ভিভিআইপিদের ‘পাস’ এবং ম্যাচের টিকিট নিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম কমিটির সচিব তথা মহকুমাশাসকের সঙ্গে শিলিগুড়ি ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তাদের তরজা চরমে উঠেছে। পদাধিকার বলে যিনি ক্রীড়া পরিষদের সভাপতিও। সোমবার স্টেডিয়াম কমিটির পক্ষে মহকুমাশাসকের তরফে মহকুমা ক্রীড়া পরিষদকে পাঠানো একটি চিঠিকে ঘিরে হইচই পড়েছে। চিঠিতে মহকুমাশাসক বৈভব শ্রীবাস্তব জানিয়ে দিয়েছেন ভিআইপি এবং ভিভিআইপিদের জন্য সমস্ত ‘পাস’ই তাঁর হেফাজতে থাকবে। এবং অন্যান্য টিকিট বিক্রি থেকে সংগৃহীত অর্থের ৫০ শতাংশ স্টেডিয়াম কমিটিকে দিতে হবে। এ ভাবে চিঠি দিয়ে মহকুমাশাসক এক্তিয়ার বহির্ভুত কাজ করছেন বলে ক্রীড়া পরিষদের কর্তাদের একাংশ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। চিঠির বিষয়টি মহকুমাশাসককে জিজ্ঞাসা করতে গেলে ফোনে স্টেডিয়াম কমিটির এক কর্মীকে মহকুমাশাসক ধমক দেন এবং তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন বলে অভিযোগ। মহকুমা শাসকের সঙ্গে কথা বলার পর ওই কর্মীকে কাঁদতে দেখেন ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তারা। তা নিয়ে মহকুমা শাসকের বিরুদ্ধে অন্যায় আচরণের অভিযোগ করেন ক্রীড়া পরিষদের কর্তাদের অনেকেই। মহকুমাশাসক বৈভব শ্রীবাস্তব বলেন, “অভিযোগ ঠিক নয়। স্টেডিয়াম সংস্কারের জন্য ৫০ লক্ষেরও বেশি টাকা খরচ করা হচ্ছে। তা ছাড়া স্টেডিয়ামে খেলা হচ্ছে যখন তখন স্টেডিয়ামে কমিটির এক্তিয়ার নেই বলা ঠিক নয়। তাই টিকিট বিক্রি থেকে সংগ্রহীত অর্থের ৫০ শতাংশ স্টেডিয়াম কমিটি কাছে চাওয়া হয়েছে।” স্টেডিয়াম কমিটির সচিব হিসাবে মহকুমাশাসক সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর অনুমতি না-নিয়ে যে সব পাস ক্রীড়া পরিষদের তরফে বিলি করা হলে তিনি তা গ্রহ্য করবেন না। মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের তরফে দেওয়া ভিআইপি বা ভিভিআইপি ‘পাস’ নিয়ে কাউকে স্টেডিয়ামে ঢুকতে দেওয়া হবে না। ক্রীড়া পরিষদ যে সমস্ত ভিআইপি বা ভিভিআইপিদের আমন্ত্রণ জানাতে চান তারা সেই তালিকা দিয়ে স্টেডিয়াম কমিটির কাছ থেকে পাস সংগ্রহ করবে। মহকুমা ক্রীড়া পরিষদ সচিব অরূপরতন ঘোষ বলেন, “টিকিট নিয়ে এ ভাবে নির্দেশ জারি করার এক্তিয়ার মহকুমাশাসকের নেই। তিনি এটা ঠিক কাজ করছেন না। নির্দেশিকা উপেক্ষা করছি। অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন আয়োজনের ভার দিয়েছে শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদকে। স্টেডিয়াম কমিটি খেলার জন্য ভাড়া চাইতে পারেন। এর বেশি কমিটির আর কোনও অধিকার নেই।” ফেডারেশন কো-অর্ডিনেটর দেবজ্যোতি মুখোপাধ্যায় বলেন, “মহকুমাশাসক সমস্ত ‘পাস’ নিজের হেফাজতে চাইতে পারেন না।” |