ব্যাঙ্ক থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা তুলে বাড়ি ফেরার পথে কেপমারির ঘটনায় সর্বস্ব খোয়ালেন একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্মী। সোমবার দুপুর ১২টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে শিলিগুড়ি থানার পানিট্যাঙ্কি মোড়ে একটি বেসকারি ব্যাঙ্কের সেবক রোড শাখার সামনে। পুলিশ জানায়, ওই কর্মীর নাম সম্রাট চাকী। বাড়ি মিলনপল্লি এলাকায়। শিলিগুড়িতে একের পর এক ছিনতাইয়ের পর এবার কেপমারির ঘটনায় অস্বস্তিতে পুলিশ। এদিন ঘটনাস্থলে যান শিলিগুড়ির অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার এ রবীন্দ্রনাথ। পুলিশ ব্যাঙ্কের ক্লোজড্ সার্কিট টেলিভিশনের (সিসিটিভি) ফুটেজ নিয়েছেন। ডেপুটি পুলিশ কমিশনার বলেন, “ব্যাঙ্কের সিসিটিভির ছবি দেখা হচ্ছে। আশা করছি দুষ্কৃতী দ্রুত গ্রেফতার হবে।” ব্যাঙ্কের ওই শাখার ম্যানেজার সৈয়দ মতিউর রহমান বলেন, ‘‘ঘটনাটি ব্যাঙ্কের বাইরে হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে আমাদের যে সাহায্যের প্রয়োজন রয়েছে তা আমরা করব।” পুলিশ সূত্রের খবর, সম্রাটবাবু ওই ব্যাঙ্কের বিন্নাগুড়ি শাখায় কর্মরত রয়েছেন। তিনি কিছুদিন আগে সেবক রোডের ওই শাখাতে ছিলেন। এ দিন বিশ্বকর্মা পুজোর জন্য ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসেন তিনি। তাঁর জলপাইগুড়ির এক আত্মীয় সেবক রোডের ওই ব্যাঙ্কের শাখা থেকে ৫ লক্ষ টাকা তোলার জন্য একটি ‘চেক’ দেন। সম্রাটবাবু জানান, তিনি ১২টা নাগাদ ব্যাঙ্কে ঢুকে টাকা তোলেন। তা একটি সাদা প্লাস্টিকের ব্যাগে রেখে তিনি ব্যাঙ্ক থেকে বাইরে বেরোন। ব্যাঙ্কের সামনেই তাঁর গাড়ি দাঁড় করানো ছিল। তিনি গাড়িতে ঢুকে চালকের আসনে বসে পাশের আসনে টাকার ব্যাগ রাখেন। সেই সময় এক যুবক গাড়ির জানালার কাচে আওয়াজ করে। জানালা খুললে ওই যুবক গাড়ির কাছে পাকা রাস্তায় কিছু ১০ টাকা ও পাঁচ টাকার নোট পড়ে রয়েছে বলে জানান। সম্রাটবাবু বলেন, “প্রথমে আমি যুবককে বলি সেগুলি আমার টাকা নয়। যুবকটি চলে যাওয়ায় গাড়ি থেকে নেমে টাকা তুলে নিই। পাশের দোকানে রেখে দেব ভেবেছিলাম। যাতে যার টাকা সে পেয়ে যায়। টাকা তুলে গাড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ব্যাগ নেই। তখন বিষয়টি বুঝতে পেরে পুলিশকে জানাই।” যান শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগের সহকারি পুলিশ কমিশনার পিনাকী মজুমদার, সহকারি পুলিশ কমিশনার প্রদীপ পাল। পুলিশের সন্দেহ, দুষ্কৃতীরা কমপক্ষে তিনজন ছিল। একজন ব্য্যাঙ্কের ভিতর থেকে সব লক্ষ্য রেখে খবর দেওয়ার কাজ করছে। একজন টাকা ছড়িয়ে দিয়ে সম্রাটবাবুকে অন্যমনস্ক করেছে। অপরজন টাকার ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে। পরে দুষ্কৃতীরা বাইক নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে বলে পুলিশের ধারণা। |