পরিষেবার মান বাড়াতে পুরসভা আদায়ে উদ্যোগী হল ময়নাগুড়ি ব্লক তৃণমূল। দলীয় নেতৃত্ব ওই বিষয়ে পুরমন্ত্রীর সঙ্গে কথা শুরু করেছেন। মন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে দেড় বছর আগে ব্লক প্রশাসনের তৈরি প্রস্তাব। এর আগে ওই প্রস্তাব জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে পুরমন্ত্রীর দফতরে পাঠানো হয়েছিল। ময়নাগুড়ি ব্লক তৃণমূল সভাপতি সুভাষ বসু বলেন, “এত দিন পুরসভা নিয়ে শুধু আলোচনা হয়েছে। প্রস্তাব তৈরির বাইরে কাজ হয়নি। কৌশলে বামফ্রন্ট চেষ্টা করেছে ওই দাবি যেন বাস্তবায়িত না হয়। আমরা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে পুরমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছি।” আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ময়নাগুড়ি পুরসভার মর্যাদা পাবে কিনা সেই বিষয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব স্পষ্ট জানাতে পারছেন না। যদিও তাঁরা মনে করেন ওই জনপদের ৬ বর্গকিমি এলাকায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের অর্থ হয় না। তাঁরা পুরমন্ত্রীকেও জানান পঞ্চায়েতের পরিকাঠামোতে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই যতটা দ্রুত সম্ভব পুরসভার মর্যাদা দেওয়া জরুরি। দলের ব্লক সম্পাদক গোবিন্দ পাল বলেন, “ময়নাগুড়ি কলেবরে এতটাই পাল্টেছে গ্রাম পঞ্চায়েতের পরিকাঠামোয় চাহিদা পূরণ সম্ভব হচ্ছে না। এখন প্রয়োজন নিকাশি ব্যবস্থার জন্য মাস্টার প্ল্যান, ডাম্পিং গ্রাউন্ড, সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট, পাকা রাস্তা, পথবাতি, বাড়িতে পরিস্রুত জল সরবরাহের ব্যবস্থা। গ্রাম পঞ্চায়েতের মাধ্যমে সেটা সম্ভব নয়।” ময়নাগুড়ি ও খাগরাবাড়ি ২ পঞ্চায়েতের ৬ বর্গ কিমি এলাকা নিয়ে ময়নাগুড়ি গড়ে উঠেছে। ৫০ হাজারের বেশি মানুষের ৮০ শতাংশ অকৃষিজীবী। গোবিন্দবাবু জানান, ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে একই এলাকাকে নিয়ে পুরসভা গঠনের জন্য ময়নাগুড়ি ও খাগরাবাড়ি-২ পঞ্চায়েতের ৭টি মৌজার বসতি এলাকা ও জনঘনত্ব দেখে ১৪৯২.৭৫ একর জমির উপরে পুরসভা গঠনের জন্য একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল। প্রস্তাবিত পুরসভা এলাকায় ছিল ময়নাগুড়ি মৌজার ২৯১.৬২ একর, দক্ষিণ মৌয়ামারির ৩৩৫.২২ একর, বেংকান্দির ৪৯৯ একর, উত্তর মাধাবডাঙার ৭৬.৭৪ একর, উত্তর মৌয়ামারির ৪০.৭৭ একর, মধ্য খাগরাবাড়ির ৪২.৪৭ একর এবং দক্ষিণ খাগরাবাড়ি মৌজার ২০৯.৯৩ একর জমি। |