বিধানসভার আসন্ন অধিবেশনে এ বার গোড়া থেকেই ‘আক্রমণাত্মক’ হতে চায় বিরোধী বামফ্রন্ট। ডেঙ্গি-পরিস্থিতি এবং আইনশৃঙ্খলার মতো বিষয়ে সরকারকে চেপে ধরার কৌশলই তারা নিতে চাইছে। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার থেকে বিধানসভার অধিবেশন শুরু হচ্ছে। সেই দিন অবশ্য শোকপ্রস্তাবের পরে অধিবেশন মুলতবি হয়ে যাওয়ার কথা। এখনও পর্যন্ত যা ঠিক আছে, পরের সপ্তাহে কয়েক দিনের জন্য বিধানসভার স্বল্পকালীন অধিবেশন চলবে।
বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র, আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা, আনিসুর রহমানের মতো সিপিএম পরিষদীয় দলের প্রথম সারির নেতাদের সঙ্গে সোমবার আলিমুদ্দিনে দলের রাজ্য নেতৃত্বের আলোচনায় প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, রাজ্য সরকারকে নাস্তানাবুদ করার সুযোগ এখন ছেড়ে দেওয়া উচিত হবে না। ডেঙ্গি মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের ‘ব্যর্থতা’ নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব বিরোধীরা। সেই বিষয়টিকেই এ বার বিধানসভার অন্দরে ‘হাতিয়ার’ করা হবে। নারী নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে চলা এবং আইনশৃঙ্খলার ক্রমাবনতিও এই তালিকায় রাখা যাতে পারে। রাজ্য সরকারকে ‘সময়’ দিয়ে চলার যে কৌশল সিপিএম গোড়ার দিকে নিয়েছিল, ঘটনাপ্রবাহে তাতে অনেকটাই ধাক্কা লেগেছে।
বিধানসভার মধ্যেই বিগত কয়েকটি অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী-সহ কিছু মন্ত্রীর মন্তব্যে ‘সৌজন্যে’র পরিবেশও সরে গিয়েছে বারবার। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এখন দলকে আন্দোলনমুখী করতে চাইছেন সিপিএম নেতৃত্ব। সেই সার্বিক পরিকল্পনার অঙ্গ হিসাবেই বিধানসভার এ বারের স্বল্পকালীন অধিবেশনকে কাজে লাগাতে চান তাঁরা। যে সব বিষয়ে সরকারের ‘জবাবদিহি’ চাওয়া উচিত বলে বিরোধীরা মনে করছে, সেগুলি নিয়ে অধিবেশনের প্রথম থেকেই তাই তারা সরব হতে চায়।
সিপিএমের এক প্রথম সারির বিধায়কের কথায়, “সরকার এই অধিবেশনে ঠিক কী কার্যসূচি রাখবে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। আমরা একটা প্রাথমিক পরিকল্পনা নিয়ে রাখছি। তার পরে পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা হবে।” |