বিচার ব্যবস্থা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় যে-মন্তব্য করেছিলেন, তাতে আদালত অবমাননা হয়েছে কি না, ২৪ সেপ্টেম্বর সেই ব্যাপারে চূড়ান্ত শুনানি শুরু হবে। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে আদালত অবমাননা হয়েছে কি না, জমা পড়া বিভিন্ন হলফনামা খতিয়ে দেখে এবং বিভিন্ন পক্ষের বক্তব্য শোনার পরেই কলকাতা হাইকোর্ট সেই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। তার আগে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিত যাচাই করে নিতে চায় আদালত।
১৪ অগস্ট বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, টাকা দিয়ে বিচার কেনা যায়। মুখ্যমন্ত্রীর ওই বক্তব্যে আদালত অবমাননা হয়েছে বলে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য হাইকোর্টের কাছে ফৌজদারি আদালত অবমাননার রুল জারি করার আবেদন জানান। মামলাটি বিচারের জন্য গ্রহণ করে বিচারপতি কল্যাণজ্যোতি সেনগুপ্ত ও বিচারপতি প্রসেনজিৎ মণ্ডলের ডিভিশন বেঞ্চ চারটি সংবাদ সংস্থাকে তাদের কাগজে প্রকাশিত এবং চ্যানেলে প্রদর্শিত সংশ্লিষ্ট খবরের সিডি-সহ হলফনামা দিতে বলেছিল। সেই নির্দেশ অনুযায়ী চারটি সংবাদ সংস্থা তাদের সংবাদপত্রে প্রকাশিত ও চ্যানেলে প্রদর্শিত খবরের প্রতিলিপি-সহ হলফনামা জমা দেয় সোমবার।
এ দিন মামলাটির শুনানির সময় ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের হলফনামা এবং প্রকাশিত ও প্রদর্শিত খবরের প্রতিলিপি ও সিডি তারা পেয়েছে। কিন্তু বিচারপতিরা এখনও সেগুলো খুঁটিয়ে দেখার সময় পাননি। বিচারপতি কল্যাণজ্যোতি সেনগুপ্ত জানান, তিনি পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন। ঠিক কোন পরিপ্রেক্ষিতে এবং কোন প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ওই মন্তব্য করেছিলেন, সেটা দেখতে হবে।
একটি ইংরেজি সংবাদপত্রের পক্ষ থেকে এ দিন আদালতের কাছে একটি আর্জি পেশ করা হয়। তাদের আর্জি, বিভিন্ন বাংলা সংবাদপত্রকেও ওই সংবাদের প্রতিলিপি-সহ হলফনামা পেশ করতে বলুক হাইকোর্ট।
|
সাম্মানিক ডক্টরেট এ বার মমতাকে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ওড়িশার একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাম্মানিক ডক্টরেট উপাধি দিতে চায়। সোমবার ওই প্রতিষ্ঠানের কর্তারা মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এই প্রস্তাব দেন। কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি নামে ওই সংস্থার অধিকর্তা অচ্যুত সামন্ত জানান, গরিব ও আদিবাসীদের উন্নয়নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরন্তর চেষ্টার জন্যই তাঁরা এই উপাধি দিতে চান। এর আগে ১১৬ জনকে তাঁরা ওই উপাধি দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এ পি জে আব্দুল কালাম, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত প্রমুখ। ওই প্রতিষ্ঠানে ১৬,৫০০ আদিবাসী পড়ুয়া নিখরচায় পড়ার সুযোগ পান বলে প্রতিষ্ঠানের তরফে জানানো হয়েছে। |