ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির পর বাসের ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে রাজ্য জুড়ে বাস ধর্মঘটের জেরে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয় কান্দি মহকুমার নিত্যযাত্রীদের।
রাজ্যের রাজধানী কলকাতা ও তার পাশ্ববর্তী এলাকায় বাস ধর্মঘট চললেও মিনিবাস, ট্রাম ও বহু সরকারি বাস রাস্তায় চলাচল করেছে। কিন্তু কান্দি মহকুমায় কোনও যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। কারণ ওই মহকুমায় কোনও মিনিবাস নেই। আশপাশের ব্লকের (খড়গ্রাম, বড়ঞা, ভরতপুর ১ এবং ২ নম্বর) উপর দিয়ে কোনও সরকারি বাস যাতায়াত করে না। ফলে নিত্যযাত্রীদের প্রায় দ্বিগুন ভাড়া দিয়ে জরুরী কাজে অবৈধ যান লছিমনে চেপে কান্দিতে পৌঁছতে হয়েছে।
কান্দি বাসস্ট্যান্ড থেকে বহরমপুর, বর্ধমান, কাটোয়া, বড়ঞা, খড়গ্রাম, সালার-সহ বিভিন্ন রুটে প্রায় ১৪০টি বাস যাতায়াত করে। কিন্তু ওই সকল রুটে একটিও সরকারি বাস চলে না। ফলে বন্ধের দিন যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে ওঠে। সামনেই দুর্গাপুজো। বাজার দিন দিন জমে উঠছে। এই সময় বাস ধর্মঘটের ফলে ব্যবসা মার খেতে পারে বলে আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের। কান্দি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক তারক প্রামাণিক বলেন, “তেলের দাম বাড়লে তো ভাড়াও বাড়াতে হবে। তবে ধর্মঘট লাগাতার চলতে থাকলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। কান্দি মহকুমায় সরকারি বাসের যোগাযোগ না থাকায় সকল যাত্রীকেই সমস্যায় পড়তে হয়।”
অনেকেই আগে থেকে বাস ধর্মঘটের কথা জানতেনই না। প্রদ্যুৎ দাসে নামে এক ব্যবসায়ী বাড়ি থেকে বার হয়েছিলেন সালার যাবেন বলে। রাস্তায় নেমে জানতে পারেন সমস্ত সরকারি বাসই বন্ধ। তিনি বলেন, “ছোট গাড়ি রিজার্ভ করে কী আর যাওয়া যায়? সরকারি বাস থাকলে বাড়ি ফিরে যেতাম না।”
যাত্রী দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে কান্দি বাস সিন্ডিকেটের সভাপতি ফুলু মিঁয়া বলেন, “তেলের দাম বেড়েছে। ভাড়া না বাড়লে আমাদের চলবে কী করে। সেটাও তো দেখতে হবে।”
যাত্রী দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বড়ঞার বিধায়ক কংগ্রেসের প্রতিমা রজক বলেন, “সরকারি বাস যাতে জেলা সদর শহরের সাথে প্রতিটি ব্লকে যাতায়াত করে সেই দাবি পরিবহন মন্ত্রীর কাছে করব।” |