|
|
|
|
শিলদা মামলায় যুক্ত হল রঞ্জন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
মাওবাদী নেতা রঞ্জন মুণ্ডাকে এ বার শিলদা-কাণ্ডে ইউএপিএ মামলায় যুক্ত করা হল। সোমবার সিআইডি’র আবেদনের প্রেক্ষিতে রঞ্জনকে এই মামলায় ১৪ দিন সিআইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালত। সরকারি কৌসুলি কণিষ্ক বসু জানান, “শিলদা মামলায় ২৮ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছিল সিআইডি। ওই ঘটনায় যুক্ত আরও ৬৩ জনের নামের তালিকাও সঙ্গে জমা দেওয়া হয়। সেই তালিকার ৬৩ তম স্থানে রঞ্জনের নাম রয়েছে।” সিআইডি সূত্রে খবর, ওই ৬৩ জনের সম্পর্কে কিছু তথ্য অস্পষ্ট থাকায় তাদের নাম চার্জশিটে রাখা হয়নি।
কয়েক দিন আগে মাওবাদী নেতা অর্ণব দাম ওরফে বিক্রমকে শিলদা মামলায় যুক্ত করা হয়েছে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর অর্ণবকে ওই মামলার বিচার প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার জন্য মেদিনীপুর আদালতে হাজির করা হবে। গত বছর ১৬ ডিসেম্বর থেকে শিলদা মামলার বিচার প্রক্রিয়া চলছে মেদিনীপুরের ষষ্ঠ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক শুভেন্দু সামন্ত’র এজলাসে। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত মোট ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে দু’জন নাবালক-নাবালিকা। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন সুদীপ চোংদার, অনু মাইতি, কাজল মাহাতো, শুকলাল মাহাতো, লোচন সিংহ সর্দার প্রমুখ। বিচারের জন্য মামলাটি আগেই দায়রা-সোপর্দ করেছিল ঝাড়গ্রামের এসিজেএম আদালত। পরে মেদিনীপুরের ষষ্ঠ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে বিচারের জন্য মামলাটির চার্জগঠন হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ’র ৬ টি ধারা, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫ টি ধারা ও অস্ত্র আইনের ১ টি ধারায় মামলাটির বিচার চলছে। বিচার চলাকালীন আরও কয়েকজন অভিযুক্ত ধরা পড়ায় মামলাটির তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে সিআইডি। ২০১০ সালের ১৫ ফ্রেব্রুয়ারি শিলদায় ইএফআর ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছিল মাওবাদীরা। প্রাণ হারিয়েছিলেন ২৪ জন জওয়ান।
গত ৩ সেপ্টেম্বর গোপীবল্লভপুরের হেঁসেলডিহি গ্রাম থেকে এক সঙ্গী-সহ রঞ্জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও বেআইনি অস্ত্র মজুতের অভিযোগ এনে মামলা শুরু হয়। এই মামলায় প্রথমে তাঁর ১৪ দিন পুলিশ হেফাজত হয়েছিল। তারপর এই মামলার সঙ্গে ইউএপিএ ধারা যুক্ত করে পরবর্তী সময় দু’দফায় আরও ১৫ দিনের জন্য রঞ্জনকে নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ। সিআইডি’র আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার রঞ্জন মুণ্ডাকে ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে হাজির করা হয়। সরকারি কৌসুলির বক্তব্য, “সিআইডির দাখিল করা চার্জশিটে শিলদা-কাণ্ডের অভিযুক্ত-তালিকায় রঞ্জনের নাম রয়েছে। তাই তাঁকে এই মামলায় যুক্ত করার পাশাপাশি হেফাজতে চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল।” সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই আদালত রঞ্জনকে শিলদা কাণ্ডে ইউএপিএ মামলায় যুক্ত করার পাশাপাশি এই মামলায় তাঁকে ১৪ দিন সিআইডি হেফাজতে রাখারও নির্দেশ দেয়। |
|
|
|
|
|