|
|
|
|
পশ্চিমে বিপর্যয় মোকাবিলা |
প্রতিটি ব্লককে ৪০ লক্ষের প্রকল্প তৈরি করার নির্দেশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রতিটি ব্লককে ৪০ লক্ষ করে টাকা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। প্রতিটি ব্লককে প্রকল্প তৈরির নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। ‘স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফান্ড’ থেকে এই অর্থ দেওয়া হচ্ছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা সংক্রান্ত বিষয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক পার্থ চক্রবর্তী বলেন, “বিভিন্ন ব্লক থেকে সেই রিপোর্ট আসতেও শুরু করেছে। রিপোর্ট খতিয়ে দেখেই অর্থ বরাদ্দ করা হবে।”
এই জেলায় বড় মাপের প্রাকৃতিক বিপর্যয় সে ভাবে ঘটেনি। বহু বছর আগে দাঁতনে শুধু প্রবল ঘুর্ণিঝড়ে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। তবে বন্যা এই জেলার নিত্যসঙ্গী বলা যায়। ভারী বৃষ্টি হলেই বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায় চলে যায়। ঘাটাল মহকুমার ৫টি ব্লকের অধিকাংশই বানভাসি হয়। এ ছাড়া খড়্গপুর মহকুমার সবং, নারায়ণগড়-সহ কেশিয়াড়ি, পিংলা, দাঁতনের আংশিক এলাকা, মেদিনীপুর সদর মহকুমার কেশপুর ও ঝাড়গ্রাম মহকুমারও কিছু এলাকায় বন্যা হয়। বাড়ি ভাঙে। ফসল নষ্ট হয়। হয় প্রাণহানি। মূলত নদী সংস্কারের অভাবেই এই জেলায় বন্যার প্রভাব বেশি। নদীবাঁধ মেরামতের ক্ষেত্রেও উদাসীনতা রয়েছে প্রশাসনের। ফলে ভরা বর্ষায় নদী ফুলে-ফেঁপে উঠলে তখন দুর্বল বাঁধগুলি সহজেই ভেঙে যায়। প্লাবিত হয় আশপাশের গ্রামগুলি।
প্রশাসন সূত্রে খবর, এ বার বর্ষার আগেই ব্লক প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়েছিল। কোথাও দুর্বল বাঁধ থাকলে তা দ্রুত মেরামত করা, নিকাশি সমস্যার সমাধানে জোর দেওয়া হয়েছিল। এ জন্য সরকারের বিভিন্ন তহবিল থেকেই অর্থ দেওয়া হয়। ‘স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফান্ড’ থেকেও অর্থ বরাদ্দ করা হয়। ব্লক পিছু এই তহবিল থেকে ৪০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার ২৯টি ব্লকের মধ্যে বেশিরভাগই প্রকল্প রিপোর্ট জমা দিতে পারেনি। মাত্র ৭টি ব্লক অর্থ চেয়ে প্রকল্প রিপোর্ট জমা দিয়েছে।
চলতি বছরে বৃষ্টিপাত হয়েছে খুবই কম। এখনও পর্যন্ত যা অবস্থা তাতে এ বছর বন্যার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। আবার পূর্ব অভিজ্ঞতা বলছে, এমনও ঘটনা ঘটেছে যে সারা বছর বৃষ্টি না হলেও পুজোর মুখে প্রবল বৃষ্টিপাত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এমনকী পুজোর সময় বন্যাও হয়েছে। প্রকৃতির কথা কে বা বলতে পারে। কিন্তু এখনও বৃষ্টি না হওয়ায় কোথাও কাজের সুযোগ থাকলে তা সহজেই বাস্তবায়িত করা সম্ভব। তাই দ্রুত প্রকল্প রিপোর্ট পাঠানোর উপর জোর দিচ্ছে প্রশাসন। যাতে প্রতিটি ব্লকেই দ্রুত টাকা পৌঁছে দেওয়া যায়। সেই টাকায় বিপর্যয় মোকাবিলার কাজও কিছুটা এগিয়ে রাখা যাবে। |
|
|
|
|
|