সাফ কাপ চ্যাম্পিয়ন ভারতের মেয়ে ফুটবল দল কলম্বো থেকে দমদম বিমানবন্দরে ফিরল নিঃশব্দে। বিমানবন্দরে ন্যূনতম অভ্যর্থনা জানাতে আইএফএ-র কোনও কর্তা উপস্থিত ছিলেন না। ব্যক্তিগত উদ্যোগে হাজির ছিলেন দেবু মুখোপাধ্যায়। যেহেতু তাঁর মেয়ে সুদেষ্ণা মুখোপাধ্যায় এই দলের ম্যানেজার। অথচ কয়েক সপ্তাহ আগেই নেহরু কাপজয়ী জাতীয় দলের ময়দানি নায়কদের শহরে ফেরার দিনের ছবিটা ছিল একেবারে উল্টো। সুব্রত পাল, নবি, মেহতাব, গৌরমাঙ্গীদের অভ্যর্থনা জানাতে হৈ-হৈ কাণ্ড। “কেন এই পার্থক্য? আমরা মেয়ে, তাই?” বিড়বিড় করে উঠলেন কলম্বো ফেরত ভারতীয় দলের বাংলার ফুটবলার তুলি গুণ। সুনীল ছেত্রীদের সাফল্যকে কুর্নিশ জানিয়ে যে ভাবে নেহরু ফাইনালের মঞ্চে ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল পটেল আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন, সে রকম কোনও স্বীকৃতি থেকে বেমবেম দেবীরা অন্তত এখনও পর্যন্ত বঞ্চিত। |
ট্রফি নিয়ে ফেরা। তুলি ও বেমবেম দেবী। দমদম বিমানবন্দরে সোমবার। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস |
কলম্বোয় ভারতীয় দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা কমলা দেবী তো বলেই দিলেন, “আমাদের জন্য কোনও সুযোগ সুবিধে নেই। সবটাই তোলা রয়েছে পুরুষ দলের জন্য। জানি না, পরপর দু’বার সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরেও আমরা বঞ্চিত থাকব কি না।” আর এক সফল ফুটবলার সস্মিতার আক্ষেপ, “দু’বার সাফ কাপ জেতা সত্ত্বেও আর্থিক পুরস্কারের জন্য আমাদের নিজেদেরই দাবি জানাতে হচ্ছে। এর পরেও অবশ্য পাবই বলতে পারছি না।” বেমবেম দেবী ব্যাখ্যা দিলেন, “নেহরু কাপ জেতার হ্যাটট্রিক যেমন বিরাট ব্যাপার, তেমন মেয়েদের পরপর দু’বার সাফ কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়াটাও তো বড় সাফল্য। তা হলে কেন ফেডারেশন আমাদের কথাও ভাববে না?”
জাতীয় মেয়ে ফুটবলারদের ক্ষোভের যৌক্তিকতা অবশ্য মেনে নিচ্ছেন এআইএফএফের ভাইস প্রেসিডেন্ট সুব্রত দত্ত। তুলি, বেমবেমদের আশ্বস্তও করছেন তিনি। দিল্লিতে আই লিগ কোর কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়ার আগে এ দিন বিমানবন্দরে তুলিদের পাশে নিয়ে সুব্রতবাবু বলে গেলেন, “অক্টোবরে পৈলানে ফেডারেশনের প্ল্যাটিনাম জুবিলির যে অনুষ্ঠান হচ্ছে, সেখানেই নেহরু কাপ চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে সাফ চ্যাম্পিয়ন মেয়ে ফুটবলারদেরও সংবর্ধনা দেওয়া হবে। |