রবিন সিংহকে ছাড়াই শিলিগুড়ি যাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
জল্পনা ছিলই। সেই জল্পনা উস্কে অন্যতম স্ট্রাইকার রবিন সিংহকে আপাতত কলকাতায় রেখেই শিলিগুড়িতে ফেড কাপে যাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। ক্লাবের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার এ দিন বলেছেন, “ফেড কাপের ২০ জনের দলে নেই রবিন।” তবে ক্লাব সূত্রে খবর, ২৫ জনের দলে রেজিস্ট্রেশন হতে পারে রবিনের। সে ক্ষেত্রে সেমিফাইনালের আগে সুস্থ হলে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন তিনি। কলকাতা প্রিমিয়ার লিগে ভেস্তে যাওয়া বিএনআর ম্যাচে কাঁধের লিগামেন্টে চোট পেয়েছিলেন রবিন। ক্লাবের সহ-সচিব ডাক্তার শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্তের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা এবং ফিজিওথেরাপি চলছিল তাঁর। কিন্তু, রবিবার পর্যন্ত ব্যথা সারেনি রবিনের। সোমবার সকালে অনুশীলনেও দেখতে পাওয়া যায়নি তাঁকে। রবিনের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে কোচ মর্গ্যান বলেন, “ব্যক্তিগত কারণে দিল্লি গিয়েছে রবিন। মঙ্গলবার অনুশীলনে আসার কথা। তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” রবিন না থাকলে দল মানসিক ভাবে কিছুটা ধাক্কা খাবে, জানিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক সঞ্জু প্রধান। মঙ্গলবারই অনুশীলনের পর ফেড কাপের ২০ জন ফুটবলারের দল ঘোষণা করবে ইস্টবেঙ্গল। কোচ জানিয়েছেন, “রবিন বাদে বাকি ফুটবলাররা ফিট।” ফলে লাল-হলুদ আক্রমণভাগে চিডির সঙ্গী হওয়ার ব্যাপারে এগিয়ে চলতি মরশুমে তিন ম্যাচে দুটি হ্যাটট্রিক-সহ আট গোল করা বলজিৎ সিংহ। এ ছাড়াও বিকল্প হিসাবে থাকছেন মননদীপ-লেনরা। ২০ জনের দলে রয়েছেন চোট সারিয়ে ফেরা ভাসুম-নওবারাও। এ দিকে, মোহনবাগানের ২০ জনের ফেড কাপ দল এ দিনই ঘোষণা করেন কোচ সন্তোষ কাশ্যপ। স্ট্যানলি, মেহেরাজ ছাড়া দলে নামীরা সবাই আছেন।
|
রাজ্য স্কুল বাস্কেটবলের অনূর্ধ্ব ১৪ ও ১৭ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হল বর্ধমানের মেয়েরা। অনূর্ধ্ব ১৪ বিভাগে বর্ধমান ১৮-১১ পয়েন্টে দক্ষিণ কলকাতাকে হারায়। ওই দলকে বর্ধমান অনূর্ধ্ব ১৭ বিভাগে হারায় ৪৬-৩৭ পয়েন্টে। অনূর্ধ্ব ১৪ বিভাগে সেরা বাস্কেটবলার নীহারিকা কুমারি ও অনূর্ধ্ব ১৭ বিভাগে সেরা বর্ধমানেরই প্রত্যুষা ঘোষ। অনূর্ধ্ব ১৪ বাস্কেটবলের খেলা হয়েছে কলকাতা চেতলা পার্কে ও অনূধ্বর্র্ ১৭ খেলা হয়েছে বীরভূমের বোলপুর স্টেডিয়ামে। উল্লেখ্য, গতবার দু’টি বিভাগে খেতাব জিতেছিল দক্ষিণ কলকাতা। এ দিকে বর্ধমান সদর জোনের আন্তঃস্কুল ভলিবল প্রতিযোগিতার অনূধ্বর্র্ ১২, ১৪, ১৭ ও ১৯ বিভাগের খেলাগুলি হবে বর্ধমানের অরবিন্দ স্টেডিয়ামে।
|
চ্যালেঞ্জারে অপ্রস্তুত বাংলা, অস্বস্তিতে সচিব
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
কোনও রকম প্রস্তুতি ম্যাচ না খেলে চ্যালঞ্জার ট্রফিতে বাংলার নেমে পড়া নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল খোদ সিএবিতেই। সোমবার চ্যালেঞ্জার ট্রফির জন্য বাংলার ষোলো জনের দল বেছে নেওয়া হল। অধিনায়ক ঋদ্ধিমান সাহা। কিন্তু দল নির্বাচন ছাপিয়ে প্রশ্ন, যাবতীয় সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন চ্যালেঞ্জারের আগে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছে না বাংলা? সিএবি-র যুগ্ম-সচিব সুজন মুখোপাধ্যায় বলছেন, “সারা দেশে বৃষ্টি হচ্ছে। তাই প্র্যাক্টিস ম্যাচ আয়োজন করা যায়নি।” অথচ নাগপুরে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছে বাংলার অনূর্ধ্ব-১৯ দল। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে কয়েকটা প্র্যাক্টিস ম্যাচ খেলবে বাংলা ‘এ’ দল। এমনকী সিএবি-র একটা প্রভাবশালী মহল সুজনের বিরুদ্ধে ‘ঢিলেমি’র অভিযোগও তুলছে। আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে রাজকোটে শুরু হচ্ছে চ্যালেঞ্জার ট্রফি। বিজয় হাজারে চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে বাংলা এই প্রথম চ্যালেঞ্জারে নামতে যাচ্ছে। এবং তার আগে দলের হালহকিকত দেখে নির্বাচক প্রধান দীপ দাশগুপ্ত সরাসরিই বলে দিচ্ছেন, “প্রস্তুতিটা মোটেই ভাল হল না। বৃষ্টির জন্য তো আউটডোরে প্র্যাক্টিসই করা যায়নি।” একেই চ্যালেঞ্জারে পাওয়া যাবে না মনোজ-দিন্দা-অনুষ্টুপ-সামিকে। বাংলার প্রাথমিক টিম থেকে রণদেব বসু-সৌরাশিস লাহিড়ি-সহ যে পাঁচ সিনিয়র ক্রিকেটার বাদ পড়েছিলেন, তাঁদেরও চ্যালেঞ্জারে ভাবা হয়নি। এই অবস্থায় প্রায় বিনা প্রস্তুতিতে চ্যালেঞ্জার-অভিযান। এমনকী এ-ও শোনা গেল, বোর্ডের রক্তচক্ষুতেই তড়িঘড়ি নির্বাচনী বৈঠক ডাকা হয়েছে। না হলে সেটারও পিছিয়ে যাওয়ার কথা ছিল।
|
চড়টা কঠিন ভাবেই ফিরিয়ে দেব: মহেশ
সংবাদসংস্থা • মুম্বই |
আজ মঙ্গলবার মুম্বইয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে মহেশ ভূপতির জানানোর কথা, এআইটিএ-র সঙ্গে যুদ্ধে তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপ কী? কিন্তু সেই পর্যন্ত অপেক্ষায় না থেকে মহেশ এ দিনই ইঙ্গিত দিলেন, জাতীয় টেনিস সংস্থাকে তিনি আদালতে নিয়ে যেতে পারেন। “রোহন দশ বছর দেশের হয়ে খেলছে। আমার প্রায় আঠারো বছর হল। তার পরেও ফেডারেশন আমাদের মুখে এ রকম থাপ্পড় মেরেছে। আমিও সেটা খুব কঠিন ভাবেই ফিরে দেব,” বলে মহেশ যোগ করেছেন, “আমরা দেখব আমাদের বিরুদ্ধে ফেডারেশনের সিদ্ধান্তটা আইন মেনে নেওয়া, নাকি বেআইনি। যদি বেআইনি হয়, সেটার বিরুদ্ধে ন্যায্য ব্যবস্থা নেব।” তাঁকে দু’বছর ‘নির্বাসিত’ করে এআইটিএ তাঁর বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত রাগ মিটিয়েছে দাবি করে মহেশ বলেন, “ফেডারেশনের মাথাগুলোর সঙ্গে আমার অনেক বছর ধরেই লেগে আছে। আমার এখন শুধু একটাই চিন্তা হচ্ছে, ওদের এই নোংরা খেলায় আমার বন্ধু এবং পার্টনার রোহনের ভবিষ্যৎ না ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেক দিন চুপ করে আছি। এ রকম কিছু হতে পারে ভেবেই কাল মুখ খুলছি।”
|
ফাইনালে হার বাংলার স্কুলের
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
ফাইনালে পারল না বাংলার স্কুল। সুব্রত কাপের ফাইনালে কল্যাণগড় বিদ্যামিন্দর নাগাল্যান্ডের গ্রিনউড হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের কাছে টাইব্রেকারে হারল ১-৩ গোলে। বিজয়ী নাগাল্যান্ডের স্কুলটির বাড়তি কৃতিত্ব, গোটা টুর্নামেন্টে তারা ১০ জনে খেলেছে। কারণ দলের বাদবাকি ফুটবলাররা মেডিক্যাল টেস্টে উত্তীর্ণ হতে পারেনি।
|
সুকোরেকে সই করাল লাজং এফসি। শেষ মুম্বই এফসি’র হয়ে খেলেছেন তিনি। ক্লাব সূত্রের খবরানুযায়ী, ফেডকাপ থেকেই লাজংয়ের জার্সি গায়ে মাঠে নামবেন তিনি। লাজংয়ের কোচের মতে, “মূলত: মিডফিল্ডার হলেও সুকোরের ভাল স্কোরিং রেকর্ড আছে। পাশাপাশি ভাল ফুটবলার হিসেবেও সুখ্যাতি আছে।” |