হোসে ব্যারেটোর টিমের কাছে পাঁচ গোলে হারের ধাক্কায় পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করে ফেললেন সুব্রত ভট্টাচার্য। বলে দিলেন, “ক্লাব আমার দু’টো শর্ত পূরণ না করলে আমি আর টালিগঞ্জ অগ্রগামীকে কোচিং করাব না। মাঠেই যাব না।”
গতবার সুব্রত যাঁকে ঘিরে মোহনবাগানে সাফল্য পাওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন সেই ব্যারেটো এ বার ভবানীপুরে। আর টালিগঞ্জ টিডি-র দায়িত্ব নেওয়ার মাস খানেক পর সুব্রতর প্রথম খেলাই পড়েছিল ভবানীপুরের বিরুদ্ধে। প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে রবিবার বিধ্বস্ত হওয়ার পর কল্যাণীর আবাসিক শিবির থেকে কিট নিয়ে বাড়ি চলে আসেন সুব্রত। বললেন, “এর পরেও ওদের কোচিং করার জন্য দুটো শর্ত দেব। প্রথমত, চার জন ভাল বিদেশি আনতে হবে। বিদেশি ছাড়া খেলা সম্ভব নয়। দ্বিতীয়ত, সহকারী কোচ সত্যব্রত ভৌমিককে সরিয়ে দিতে হবে। আগে এগুলো কর্তারা মানুক তার পর মাঠে যাব।” মোহনবাগানকে খেলে এবং কোচিং করিয়ে ৬৮টি ট্রফি দেওয়া সুব্রত অভিযোগ করলেন, “ম্যাচ চলার সময় রিজার্ভ বেঞ্চে বসে আমার কোচিং যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল সত্যব্রত। ওকে তাড়াতেই হবে।”
কিন্তু কেমন দেখলেন অন্য জার্সির ব্যারেটোকে। যিনি এই বয়সেও হ্যাটট্রিক করলেন আপনার বিরুদ্ধে। “আমি তো মোহনবাগানে থাকার সময়ই বলেছি এখনও দু’তিন বছর ব্যারেটো ভাল খেলে দেবে। গতিটা একটু কমে গেলেও ওর ফুটবল সেন্সটা কোথায় যাবে? সেটা অসাধারণ ছিল। এখনও আছে। তবে টালিগঞ্জে বিদেশি না থাকা, যারা খেলছে তাদের অভিজ্ঞতা কম থাকাটাও এই ম্যাচে আরও পার্থক্য ঘটিয়ে দিয়েছে,” বললেন সুব্রত।
সুব্রতর যা শর্ত তা টালিগঞ্জের নতুন স্পনসর চিরাগের পক্ষে এখনই মানা কঠিন। বিশেষ করে এই মুহূর্তে ভাল বিদেশি পাওয়া কঠিন। টালিগঞ্জ টিডি-র সঙ্গে কথা বলে মনে হল, সরাসরি ‘কোচিং করাব না’ বললে অন্য রকম ব্যাখ্যা হতে পারে ময়দানে। সে জন্যই ঘুরিয়ে শর্ত আরোপ করে সরে যেতে চান তিনি। জানা গিয়েছে, সুব্রতর সঙ্গে টালিগঞ্জের কোনও লিখিত চুক্তি হয়নি। শুধু একটা চেক ক্লাব কর্তাদের থেকে পেয়ে মাঠে নেমেছেন তিনি। তবে সুব্রতর দাবি এখনও সেই চেক ভাঙাননি। |