বয়স নয়, পারফরম্যান্সই আসল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এই মন্ত্রে বিশ্বাসী। বয়স একটা সংখ্যামাত্র। আসল কথা পারফরম্যান্স লিয়েন্ডার পেজের দর্শন। শহরের তৃতীয় আইকন প্লেয়ার ভাইচুং ভুটিয়াও একই মন্ত্র নিয়ে নেমে পড়ছেন ফেড কাপে।
বয়সকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রবিবারই লিগের ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছেন হোসে ব্যারেটো। যার চার দিন পরেই ব্যারেটোর এক সময়ের সতীর্থ ভাইচুংকে মাঠে দেখা যাবে জামশেদপুরে ইউনাইটেড সিকিমের জার্সি গায়ে। শেষ বার ভাইচুং ফেড কাপ খেলেছিলেন লাল-হলুদ জার্সিতে। ২০০৯-এর ডিসেম্বরে গুয়াহাটিতে।
দেশের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ড মেনে নিচ্ছেন তাঁদের গ্রুপ ‘ডি’-ই সত্যিকারের ‘গ্রুপ অব ডেথ’। যেখানে সিকিমের ক্লাব ছাড়াও আছে প্রয়াগ ইউনাইটেড, সালগাওকর এবং পুণে এফসি। তা সত্ত্বেও ভাইচুং বলছেন, “আমাদের লক্ষ্য অবশ্যই গ্রুপে এক নম্বর হওয়া।” সিকিমের তিন বিদেশি--কোরিয়ান গোলকিপার টায়ে ইয়ুন, কোস্টারিকান স্টপার মাইকেল গুতিয়েরেজ এবং নাইজিরিয়ান ফরোয়ার্ড নুরুদ্দিন। ভাইচুং খেলবেন উইথড্রয়াল ফরোয়ার্ড। তাঁর আশা, “তরুণ এবং অভিজ্ঞদের মিশ্রণে গড়া টিম ফেড কাপে খুব খারাপ খেলবে না।” তবে ভাইচুংয়ের দলের কোচ ফিলিপ ডি’রাইডার বললেন, “ছেলেরা মোটামুটি ভাল খেললেই যথেষ্ট। বেশি দিন একসঙ্গে প্র্যাক্টিসের সুযোগ পেলাম কই?”
ব্যারেটোর হ্যাটট্রিকের কথা শুনে ভাইচুং উচ্ছ্বসিত। বলছিলেন, “অসাধারণ নেতা। মাঠের ভিতরে এ রকম পারফর্ম করছে। আবার মাঠের বাইরে সতীর্থদের গাইড করছে।” ইউনাইটেড সিকিমের মালিক এবং ফুটবলার ভাইচুং মাঠের মধ্যে যে ইদানীং খুব বেশি দায়িত্ব নিতে পারেননি তা মেনে নিলেন। বলেন, “আমার তো মাঠের বাইরের কাজেই বেশি সময় কেটে যায়। সে রকম খেলতে পারি না। প্র্যাক্টিসও করতে পারিনি নিয়মিত।”
ভাইচুংয়ের মতোই শেষ চারে যাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী সাগাওকর কোচ করিম বেঞ্চারিফা। “আমাদের টিমের গড় বয়স ২৩ বছর। তিন বিদেশি কুইন্টন, শন রুনি আর গিরাদো খুব ভাল।” তবে তিনি গ্রুপের ফেভারিট মনে করছেন প্রয়াগ ইউনাইটেডকে। “বড় বাজেটের জন্য দলটা খুব শক্তিশালী।” র্যান্টি-কার্লোস-ভিনসেন্টদের কোচ সঞ্জয় সেন আবার পাল্টা বলছেন, “গ্রুপে সালগাওকরই সবচেয়ে কঠিন ঠাঁই।” ডেরিক পেরিরার পুণে এফসির সুবিধা ইজুমি আরাতা ভারতীয় নাগরিক হয়ে যাওয়ায় এশীয় কোটায় আর একজনকে দলে নিয়েছেন। জাপানি অ্যাটাকিং মিডিও দাইসুকে নিশিগুচি। কিন্তু ডেরিকও বললেন, “প্রয়াগের সুবিধা, ওরা ঘরোয়া লিগ খেলে ফেড কাপে নামছে।”
তবে করিম থেকে ডেরিক সবাই মানছেন, অচেনা সিকিম অবাক করে দিতে পারে। অচেনা টিম কিন্তু দলের নেতা যে ভীষণ চেনা! |