নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
দিনে দিনে বিশ্বকর্মা পুজোর জৌলুসও বাড়ছে মেদিনীপুর-খড়্গপুর দুই শহরেই। আগে যেখানে ছোট একটি মণ্ডপ বানিয়ে পুজো হত, এখন সেখানে মন্দিরের আদলে মণ্ডপ হচ্ছে, আলোকসজ্জাতেও নানা কারিকুরি। মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় জমাচ্ছে উৎসাহী মানুষজন। বিশ্বকর্মা পুজোর জৌলুস সবচেয়ে বেশি থাকে পূর্ব মেদিনীপুরের শিল্পশহর হলদিয়ায়। এখানে থিমের রমরমা চলছে বেশ কয়েক বছর ধরেই। বিশ্বকর্মা পুজো ঘিরে নানা কর্মসূচিও হয়। এ বার সেই ছোঁয়া আসতে শুরু করেছে খড়্গপুর-মেদিনীপুর দুই শহরেই। এখানেও থিমের মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। ঝলমলে এলইডি আলোয় সেজে উঠছে আশপাশের এলাকা। সোমবার সকাল থেকেই দুই শহরে ছিল উৎসবের মেজাজ। |
মেদিনীপুরের কেরানিতলা, এলআইসি মোড়, নতুন বাজার, বাস স্ট্যান্ড, গাঁধী স্ট্যাচু মোড়, বটতলাচক থেকে শুরু করে খড়্গপুরের ইন্দা, পুরাতন বাজার, কৌশল্যা, মালঞ্চ, ঝাপেটাপুর বিশ্বকর্মা পুজো ঘিরে উদ্দীপনা চোখে পড়েছে সর্বত্রই। সন্ধে নামতেই একের পর এক এলাকা সেজে ওঠে আলোকসজ্জায়। পাশাপাশি, দিনভর সাউন্ড বক্সে গান চলেছে। বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বন। তাই উৎসবের রেশ যেন কাটতে চায় না। আর মাস খানেক বাদেই দুর্গা পুজো। তার আগেই বিশ্বকর্মা পুজো ঘিরে উৎসবে মাতল দুই শহর।
এ দিন দুই শহরের বিভিন্ন কলকারখানায়, গাড়ির স্ট্যান্ডে, রিক্সা স্ট্যান্ডে দেব কারিগরের পুজো হয়। খড়্গপুরে রেলের ওয়ার্কশপেও পুজো ঘিরে ছিল উৎসবের মেজাজ। দুই শহরেই এ বার বিশ্বকর্মা পুজোর সংখ্যা বেড়েছে। দর্শনার্থীদের নজর কাড়তে পুজো উদ্যোক্তারা তাঁদের আয়োজনে নতুনত্ব রাখার চেষ্টা করেছেন। তাই কোথাও পুজো মণ্ডপের আশপাশের এলাকা রংবাহারি আলোয় সাজিয়ে তোলা হয়েছে। কোথাও আবার থিমের মণ্ডপে রাখা হয়েছে নজরকাড়া সাজ। উৎসবের দিনে অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে সর্তক ছিল পুলিশ-প্রশাসনও। দুই শহরেই বাড়তি নজরদারি চালানো হয়েছে। অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে এ দিন রেলশহরের বিভিন্ন এলাকায় টহল দিয়েছে পুলিশ। |