নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ এ বার নারায়ণগড়ের কুনারপুরের নন্দকিশোরপুরে। সংঘর্ষে এসারুল আলি শাহ নামে এক তৃণমূল কর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন। প্রথমে মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি করা হলেও পরে তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে সরানো হয়। রবিবার রাতে সংঘর্ষের পরে সোমবার সকাল থেকে ফের এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয় মানুষ পুলিশের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। পথ অবরোধও হয়। দুপুরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
আগে তৃণমূলের নারায়ণগড় ব্লক সভাপতি ছিলেন সূর্য অট্ট। সম্প্রতি তাঁকে সরিয়ে ব্লক সভাপতি করা হয়েছে মিহির চন্দকে। তবে কোন্দল মেটেনি। ইতিমধ্যে কয়েকটি এলাকায় প্রাক্তন সভাপতির সঙ্গে নতুন সভাপতির অনুগামীদের সংঘর্ষ হয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য রবিবার রাতের ঘটনাকে গোষ্ঠী সংঘর্ষ বলে মানতে নারাজ। মিহিরবাবু বলেন, “নন্দকিশোরপুরে একটি দুর্ঘটনা হয়েছিল। পিক-আপ ভ্যান মোটর বাইকে ধাক্কা মেরেছিল। সেই নিয়েই গোলমালের সূত্রপাত বলে জেনেছি। ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।” সূর্যবাবুর অবশ্য বক্তব্য, “এসারুল আলি শাহ-সহ দলের ৩ কর্মী যখন মোটর সাইকেলে নারায়ণগড়ের দিক থেকে ওই গ্রামের দিকে যাচ্ছিলেন, তখনই হামলা হয়। খাল পাড়ে আগে থেকেই ২০-২৫ জন জড়ো হয়েছিল।” তাঁর অভিযোগ, “আমাদের নেতৃত্বের নিরপেক্ষতার অভাব রয়েছে। আশা করব, আগামী দিনে নেতৃত্ব নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করবেন। এবং এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে উপযুক্ত পদক্ষেপ করবেন।”
রবিবার রাতেই গুরুতর জখম এসারুলকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতার এক হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সোমবার সকালে গ্রামে পৌঁছয় পুলিশ। গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পুলিশের গাড়ি ঘিরেও বিক্ষোভ হয়। চলে পথ অবরোধ। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে দুপুরের দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তৃণমূলের ব্লক সভাপতির অবশ্য বক্তব্য, “ঠিক কী হয়েছে খোঁজ নিয়ে দেখছি।”
নারায়ণগড় প্রাক্তন মন্ত্রী তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রের নির্বাচনী এলাকা। এখানে বারবার গোষ্ঠী সংঘর্ষ বাধায় ‘বিড়ম্বনায়’ পড়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। নেতৃত্বের একাংশের বক্তব্য, মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাচ্ছে। দলীয় দ্বন্দ্বের সুযোগে সিপিএম শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে। |