মেঘ দেখলেই খাবার পায় না শিশুরা
নিজস্ব কোনও ঘর নেই। স্থানীয় একটি ক্লাবের জীর্ণ চালাঘরে চলে দুবরাজপুরের পারুলিয়া পঞ্চায়েতের করমকাল দুই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি। রোদ উঠলে যদিও বা সকাল সকাল রান্না করে সেই খাবার শিশু, গর্ভবতী ও প্রসূতিদের হাতে তুলে দেওয়া যায়, বৃষ্টি পড়লে সেটাও সম্ভব নয়। বন্ধ রাখতে হয় কেন্দ্র। সেই সঙ্গে কেন্দ্রটির পাশে থাকা ঝোপঝাড় থেকে আসা পোকামাকড়, সাপখোপ ও তালগাছ থেকে তাল মাথায় পড়ার ভয় রয়েছে। এমনটাই দাবি করমকাল আদিবাসীপাড়া স্থিত ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী, সহায়িকা ও বাসিন্দাদের। তাঁদের অভিযোগ, এ বিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত, ব্লক সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্প আধিকারিককে জানিয়েও ফল হয়নি।
স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী, করমকাল গ্রামেই আরও একটি অঙ্গনওয়াড়িকেন্দ্র রয়েছে। সেটির অবশ্য নিজস্ব ঘর রয়েছে। বছর আড়াই আগে করমকাল আদিবাসীপাড়ায় ওই কেন্দ্রটি চালু হয়।
জীর্ণ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ছবিটি তুলেছেন দয়াল সেনগুপ্ত।
বর্তমানে শিশু, গর্ভবতী ও প্রসূতি মোট ৬২ জন কেন্দ্রটির উপর নির্ভরশীল। যার মধ্যে শিশুর সংখ্যা ৫৩ জন। কর্মী যূথিকা দত্ত রুজ বলেন, “ঘর না থাকায় খুব আসুবিধা হয়। খাবার রান্না থেকে শিশুদের পড়ানোর কাজটি খোলা আকাশের নীচেই করতে হয়। ঘর না থাকায় রান্নার চাল, ডাল, ডিম সবই প্রতিদিন বয়ে আনতে হয়।” ব্লক সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্প আধিকারিক বিপ্লব সেন বলেন, “শুধু ওই কেন্দ্র নয়, বেশ কয়কটি কেন্দ্রের ঘর নেই। তবে আমাদের দফতরের নিজস্ব কোনও ফান্ড নেই।
স্থানীয় পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি বা জেলা পরিষদের টাকায় এগুলো তৈরি হয়। আমি স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেছি।” যুগ্ম বিডিও মানিক সিংহ মহাপাত্র বলেন, “বিষয়টি আমার জানা ছিল না। যত দ্রুত সম্ভব সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করছি।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.