টুকরো খবর
স্ত্রীকে খুন, কারাদণ্ড
বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে স্ত্রীকে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেছিলেন স্বামী। সোমবার সেই অভিযুক্ত স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনালেন রামপুরহাট ফাস্ট ট্র্যাক দ্বিতীয় আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক কুমকুম সিংহ। সরকার পক্ষের আইনজীবী উৎপল মুখোপাধ্যায় বলেন, “অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন, খুন ও পণপ্রথা বিরোধী আইন অনুযায়ী মামলা শুরু হয়েছিল। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় পুলিন মুর্মুকে স্ত্রী খুনে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। পাশাপাশি উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে শাশুড়ি শোলে মাড্ডিকে বেকসুর খালাসেরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।” উৎপলবাবু জানিয়েছেন, ২০১০ সালে নলহাটির শালদহ-গান্দুপাড়া এলাকার পুলিন মুর্মুর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ঝাড়খণ্ডের পাখুড়িয়া থানা এলাকার বাসিন্দা মঞ্জু মারান্ডির। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে পুলিন ও তার মা মঞ্জুর উপরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন। ২০১১ সালের ২৯ এপ্রিল রাতে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে স্ত্রীকে বাড়ির বাইরে নিয়ে যান পুলিন। ওই রাতেই সে কাছের কাঙলা পাহাড়ি জঙ্গলে মঞ্জুকে নিয়ে যায়। সেখানে সহবাস করে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে মঞ্জুকে শ্বাসরোধ করে পুলিন খুন করে বলে অভিযোগ। উৎপলবাবু বলেন, “জঙ্গলেই মৃতদেহ রেখে পুলিন পালিয়ে যায়। পরের দিন সকালে সেই মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মঞ্জুর বাবা রবীন্দ্র মারান্ডি নলহাটি থানায় জামাই ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে মেয়েকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।”

বাস বন্ধে দুর্ভোগ
ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সোমবার থেকেই যে রাজ্য জুড়ে বেসরকারি বাস ধর্মঘট শুরু হয়েছে, তার প্রভাব পড়েছে সিউড়ি, রামপুরহাট, বোলপুর, দুবরাজপুর, সাঁইথিয়া-সহ সর্বত্রই প্রভাব পড়েছে। বেসরকারি বাসের দেখা মেলেনি। সরকারি বাস ছাড়া মানুষের যাতায়াতের জন্য যেটুকু যানবাহন রাস্তায় ছিল সেগুলি মূলত অটো, ট্রেকার বা ভাড়া করা গাড়ি। ফলে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে এ দিন বাইরে বেরনো সাধারণ মানুষকে। তবে সপ্তাহের প্রথম দিন বাস ধর্মধট হলে সাধারণ মানুষকে যতটা নাকাল হতে হয় ততটা এ দিন হতে হয়নি। তার অন্যতম কারণ বিশ্বকর্মা পুজো। এই দিনটায় এমনিতেই তুলনায় বাস, অটো, ট্রেকার, রিকশাও আনেক কম চলাচল করে। ছুটি থাকে স্কুল-কলেজ। জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা বলেন, “অতিরিক্ত সরকারি বাস চলাচল করেছে। বিশ্বকর্মা পুজোর জন্য এমনিতেই বাস কম থাকে। লোকজন বাড়ি থেকে কম বেরোন। তবে যাঁরা বেরিয়েছেন তাঁরা দুর্ভোগে পড়েছেন এমন কোনও খবর পাইনি। খোলা ছিল সরকারি অফিস আদালত। কর্মীদের হাজিরায় কোনও প্রভাব পড়েনি।

১০০ দিন কাজে ‘বেনিয়ম’
তৃণমূল পরিচালিত বনহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ এনে রামপুরহাট-১ ব্লকের বিডিও এবং রামপুরহাট মহকুমাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিল বিজেপি। ওই পঞ্চায়েতটি রামপুরহাট-১ পঞ্চায়েত সমিতির অধীন। বনহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ ওই পঞ্চায়েতের চিতুড়ি-বেনোড়া সংসদ, কাঁদুরি সংসদ, রদিপুর সংসদ এবং জেঁদুর শিবপুর সংসদে আইন না মেনে যন্ত্রের মাধ্যমে মোরাম রাস্তা সংস্কারের কাজ চলছে। কিন্তু শ্রমিকদের মাধ্যমেই কাজ হচ্ছে বলে মাস্টার রোলে দেখানো হচ্ছে। এটি ১০০ দিনের প্রকল্পের নিয়ম বিরুদ্ধে।” বিডিও আব্দুল মান্নান বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।” মহকুমাশাসক রত্নেশ্বর রায় বলেন, “সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

নিয়োগে ‘দুর্নীতি’
জেলাশাসকের দফতরে কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। সোমবার কর্মচারীদের একটি সংগঠন (ইউনাইটেড স্টেট গভর্মেন্ট এমপ্লয়িজ) এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনাকে। ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “দফতরের এক কর্মী বেআইনি ভাবে তাঁর আত্মীয়-সহ কয়েকজনকে চতুর্থ শ্রেণির অস্থায়ী কর্মী হিসাবে নিয়োগ করেছেন।” ওই সংগঠনের আরও দাবি, সরকারি নির্দেশ উল্লঙ্ঘন করে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। এ ছাড়া অস্থায়ী কর্মীদের জন্য নির্ধারিত ৯০ টাকা মজুরি বাড়িয়ে একলাফে ২১৭ টাকা করা হয়েছে বলেও তাঁদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। ওই কর্মী অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। জেলাশাসক বলেন, “অতিরিক্ত জেলাশাসককে (সাধারণ) খতিয়ে দেখতে বলেছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

চোরাই গাড়ি উদ্ধার
দুবরাজপুর থানা এলাকা থেকে চারটি চোরাই মোটরবাইক উদ্ধার করল বোলপুর থানার পুলিশ। সোমবারের এই ঘটনায় ৩ জনকে আটক করে পুলিশ।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.