হাসপাতাল চেয়ে সমাবেশের সিদ্ধান্ত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
রায়গঞ্জে এইমসের ধাঁচে হাসপাতালের দাবিতে শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের সামনে সমাবেশ করবে কংগ্রেস। শুক্রবার প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে উত্তরবঙ্গ জুড়ে ওই হাসপাতালের দাবিতে কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়। তার পরে সন্ধ্যায় দার্জিলিং জেলা কংগ্রেসের টানা তিন ঘণ্টার জেলা কমিটির বৈঠকে শিলিগুড়ির কর্মসূচি চূড়ান্ত হয়। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর ওই সামবেশ হবে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য, সাংসদ অধীর চৌধুরী, দীপা দাশমুন্সি, বিধায়ক অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় সমাবেশে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন। দার্জিলিং জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা বিধায়ক শঙ্কর মালাকার বলেন, “প্রদেশ কংগ্রেসের নির্দেশে উত্তরবঙ্গ জুড়ে এইমসের দাবিতে আন্দোলন হবে। শিলিগুড়িতে ২২ সেপ্টেম্বর বাঘাযতীন পার্ক থেকে মহামিছিল শুরু হবে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মঞ্চ করে উল্টোদিকে সভা হবে।” কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, শিলিগুড়ি ছাড়াও ২০ সেপ্টেম্বর কোচবিহারে, ২১ সেপ্টেম্বর জলপাইগুড়ি, ২৪ সেপ্টেম্বর বালুরঘাটে এবং ২৩ সেপ্টেম্বর মালদহে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ হবে। পরবর্তীতে মাসের শেষে কেন্দ্রীয় সমাবেশ হবে রায়গঞ্জে। সেখানে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের থাকার সম্ভবনা রয়েছে। শঙ্করবাবু বলেন, “এই হাসপাতাল প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির স্বপ্ন। কেন্দ্রীয় সরকার ১২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। জমি দিতে এলাকারক মানুষ প্রস্তুত। সেখানে নানা কথা বলে বিষয়টি টালবাহানা করা হচ্ছে। কংগ্রেস তাই মানুষকে নিয়ে রাস্তা নেমে এই দাবিতে সরব হবে।” এদিন বৈঠকে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা হয়েছে। কংগ্রেস নেতারা জানান, শিলিগুড়ি মহকূমা পরিষদ নির্বাচন ২০১৪ সালে হওয়ার কথা। কিন্তু তা আগামী জানুয়ারি মাসে অন্য জেলার সঙ্গে করাও হতে পারে। তাই এখন থেকেই বুথ ভিত্তিক কর্মী সভা, কমিটি গঠন এবং প্রার্থী বাছাই-এর কাজ শুরু করার সিদ্ধান্ত এদিনের বৈঠকে নেওয়া হয়েছে। সেখানে সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর গ্রামীণ এলাকায় জনসংযোগ যাত্রা নিয়েও আলোচনা হয়। জেলা কংগ্রেস সভাপতি বলেন, “এই জেলায় কংগ্রেস এখনও এক নম্বর শক্তি। কেউ একদিন পদযাত্রা করলে মানুষ বদলায় না। আমরাই সবসময় মানুষের পাশে থাকি। আগে শিলিগুড়ির ভোট হলেও আমরা প্রস্তত। প্রার্থী বাছাই কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে।” এদিনের বৈঠকে অনেক জেলা কমিটির সদস্যই একা লড়ার পক্ষে সওয়াল করেন। শঙ্করবাবু বলেন, “এই বিষয়টি কেন্দ্র এবং রাজের নেতৃত্ব স্থানীয় স্তরে ছেড়ে দিয়েছে। জোট হলে ভাল নইলে আমরা একাই যথেষ্ট।” এর পাশাপাশি, শিলিগুড়ি পুরসভা নিয়েও এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়। এদিনের বৈঠকে জেলা কংগ্রেস কমিটির সদস্যদের একাংশকে ডাকা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সুজয় ঘটক বলেন, “জেলা কংগ্রেসের কোনও বৈঠক হয়েছে বলে জানি না। আমাকে ডাকা হয়নি।” জেলা সভাপতি বলেন, “আমরা সবাইকে চিঠি দিয়েছি। কাউকে না ডাকার কোনও কারণ নেই। অনেকে অকারণে বিবৃতি দিয়ে প্রচারের আলোয় থাকতে চান। আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি না।” |