|
|
|
|
পুরসভায় পরিদর্শন |
নমিতেশ ঘোষ • শিলিগুড়ি |
সকাল সাড়ে ১০টা। গেস্ট হাউস বুকিং সেন্টারের দরজা বন্ধ। পরিবেশ দফতরে একজন কর্মী। বিল্ডিং সেলে ১ জন কর্মী বসে রয়েছেন। বস্তি উন্নয়ন সেলে অনেক চেয়ার ফাঁকা। অ্যাসেসমেন্ট বিভাগে ১০ জনের মধ্যে উপস্থিত ১ জন। সকাল ১১টা। হাজিরা খাতায় সই ৯০ জনের। অনুপস্থিত ৬৪ জন। শুক্রবার শিলিগুড়ি পুরসভার কমিশনার ও তিন মেয়র পারিষদের বিভাগে বিভাগে আচমকা পরিদর্শনে উঠে এল এমনই তথ্য। দেরি করে আসা কর্মীদের সতর্ক করে দিলেন কমিশনার। যারা ১১টারও পরে অফিসে এলেন হাজিরা খাতায় সই করতে দেওয়া হল না তাঁদের। পুরসভার কমিশনার প্রভুদত্ত ডেভিড প্রধান বলেন, “কর্মীরা যাতে নির্ধারিত সময় মেনে অফিসে আসেন সেদিকে লক্ষ্য রেখে আচমকা পরিদর্শন করা হয়েছে। বৈঠক ডেকে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলব।” |
|
ছবি: কার্তিক দাস। |
পুরসভার পূর্ত দফতরের মেয়র পরিষদ কৃষ্ণ পাল বলেন, “পুরসভায় কর্মসংস্কৃতি ফেরাতে অভিযান চলছে। বাম আমলের সংস্কৃতি পাল্টাতে সময় লাগবে। তবে অনেকটাই পাল্টেছে। মেয়র, ডেপুটি মেয়র সরকারি কাজে বাইরে রয়েছেন। পুরসভা কর্তৃপক্ষহীন হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন বিরোধীরা। সে অভিযোগ ঠিক। এখন তাঁদের কাজ আমরা মেয়র পারিষদরা সবাই মিলে করছি।” পুরসভা সূত্রের খবর, কংগ্রেস-তৃণমূল জোট পুরবোর্ড দখলের পর কর্মসংস্কৃতির হাল ফেরাতে একাধিক বার পুরসভার বিভিন্ন দফতর পরিদর্শন করেন মেয়র। নির্ধারিত সময় সকাল ১০টার মধ্যে সমস্ত কর্মীকে অফিসে উপস্থিত হওয়ার ব্যপারে সতর্ক করা হয়। সে সময় পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়। পরবর্তীতে ফের একই অভিযোগ ওঠে। এদিন কমিশনার, পূর্ত দফতরের মেয়র পারিষদ কৃষ্ণবাবু, পরিবেশ বিভাগের মেয়র পারিষদ দুলাল দত্ত, বিল্ডিং বিভাগের মেয়র পারিষদ সীমা সাহা বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শন করেন। পরিবহণ দফতরের এক কর্মী সৈয়ফ আলি কমিশনারকে চিনতে পারেননি। ওই কর্মী বলেন, “অসুস্থতার কারণে পাঁচ মাস ছুটিতে ছিলাম। জুন মাসে কাজে যোগ দিয়েছি। কমিশনার নতুন আসায় তাঁকে চিনতে পারেনি।” সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে অফিসে যান পূর্ত দফতরের অ্যাসিট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার দীপক দত্ত। পরে তিনি বলেন, “কাজ পরিদর্শনে বাইরে গিয়েছিলাম। সে জন্য অফিসে ঢুকতে দেরি হয়েছে।” পুরসভার বিরোধী দলনেতা নুরুল ইসলাম বলেন, “কংগ্রেস-তৃণমূলের বোর্ড ক্ষমতায় আসার পর থেকে কর্মসংস্কৃতি বেহাল হয়ে পড়েছে। সেদিকে পুর কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া উচিত। শহরে জল থাকছে না। অথচ তা নিয়ে পুরসভায় গিয়ে কারও দেখা পাওয়া যাচ্ছে না।” পুরসভায় অভিযান। |
|
|
|
|
|