|
|
|
|
আন্দোলনে হুমকি বাস মালিকদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ময়নাগুড়ি |
আবেদন জানিয়ে লাভ হয়নি। খানাখন্দে ভরা বেহাল জাতীয় সড়ক মেরামতে উদ্যোগী হয়নি জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। ‘নিরুপায়’ হয়ে এ বার শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি-ডুয়ার্স-কোচবিহার রুটে বেসরকারি বাস পরিষেবা বন্ধ করার হুমকি দিল বাস মালিক সংগঠন। আজ, শনিবার পরিষেবা বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বেসরকারি বাস মালিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা শিলিগুড়িতে জরুরি সভায় বসবেন। ডুয়ার্স মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক গৌরব চক্রবর্তী বলেন, “ভাঙাচোরা জাতীয় সড়কে যানজটে কোনও বাস চলতে পারছে না। উল্টে বিকল হচ্ছে। গত বুধবার থেকে উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। কেউ ব্যবস্থা নিচ্ছে না। শনিবার আমরা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বসব। সেখানে বাস পরিষেবা বন্ধ রাখার বিষয়ে আলোচনা হবে।” |
|
ছবি: সন্দীপ পাল। |
শিলিগুড়ি ইন্টার ডিস্ট্রিক্ট মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রণব মানি বলেন, “বৃহস্পতিবার পাঙ্গা বটতলায় যানজট হয়। শুক্রবার রানিনগরে একই পরিস্থিতির জন্য অর্ধেকের বেশি বাস গন্তব্যে পৌঁছতে পারেনি। এ ভাবে চলতে পারে না। যে কোনও সময় বেসরকারি বাস পরিষেবা বন্ধ হবে।” একে টানা বৃষ্টি। তার উপরে খানাখন্দে ভরা ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে দিনভর যানজটে নাকাল দশা হয়েছে নিত্যযাত্রীদের। শুক্রবার সকাল থেকে ওই সড়ক কার্যত অচল হয়ে পড়ে। ডুয়ার্স সহ কোচবিহারের প্রচুর শিলিগুড়িগামী বাস জলপাইগুড়ি মোহিতনগরের পরে এগোতে পারেনি। উল্টো দিকে শিলিগুড়ি থেকে রওনা দিয়ে ডুয়ার্স, কোচবিহার, অসম ও ভুটানগামী বাসগুলি মাঝ রাস্তা থেকে ফিরে যেতে বাধ্য হয়। ঘটনায় বাস মালিকরাই ক্ষুব্ধ নন, তিতিবিরক্ত নিত্যযাত্রীরাও। তাঁদের প্রশ্ন, জাতীয় সড়ক মেরামতি নিয়ে চাপানউতোর আর কতদিন চলবে! জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের টেকনিক্যাল ম্যানেজার পঙ্কজ মিশ্র বলেন, “রাস্তা মেরামতি চলছে।” বাস মালিক সংগঠন শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত পরিষেবা বন্ধের কথা ঘোষণা না করলেও যানজটের কারণে এ দিন বেসরকারি বাস পরিষেবা বন্ধ থাকে। যে সমস্ত অফিস কর্মী ও স্কুল শিক্ষকরা শিলিগুড়ি রওনা হন তাঁদের অনেকে মাঝরাস্তা থেকে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। বেসরকারি বাস কন্ডাক্টর শম্ভু দাস বলেন, “সময় মতো চলতে না পারায় রোজগার তলানিতে ঠেকেছে। জাতীয় সড়ক ছেড়ে অন্য রাস্তায় বাস নিয়ে যাব উপায় নেই। এ ভাবে বাস চলানো সম্ভব নয়।” শুক্রবার-ই প্রথম নয়। বেহাল ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে যানজট রুটিনে দাঁড়িয়েছে। ছোটখাটো ডোবার মতে গর্তে পড়ে প্রতিদিন বিকল হচ্ছে পণ্য বোঝাই দৈত্যাকৃতি ট্রাক ও বাস। বিকল বাস ও ট্রাক পাশ কাটিয়ে চলতে গিয়ে গর্তে আটকে পড়ছে অন্য গাড়ি। মূহুর্তে রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে কয়োকশো যানবাহন। কয়েক ঘন্টার চেষ্টাতেও ওই জট কাটছে না। মঙ্গলবার রাত থেকে টানা বৃষ্টি শুরু হতে সমস্যা আরও জটিল আকার নিয়েছে। ভাঙাচোরা জাতীয় সড়ক জলে ভাসছে। দূরপাল্লার বাস ও ট্রাকের চালকরা বুঝতে পারছেন না কোথায় গর্ত আর কোথায় পিচের প্রলেপ রয়েছে। আন্দাজে চলতে গিয়ে গর্তে আটকে পড়ার ঘটনা ওই জাতীয় সড়কে প্রতি ঘণ্টায় ঘটে চলেছে। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, মাসের পর মাস ওই পরিস্থিতি দেখেও কর্তৃপক্ষের ঘুম ভাঙছে না। |
|
|
|
|
|