|
|
|
|
বন্যা পরিস্থিতির অবনতি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালবাজার |
ডুয়ার্সের ওদলাবাড়ির বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। গত ১২ সেপ্টেম্বর বুধবার সকাল থেকেই বাঁধ ভেঙে ঘিস নদীর জল আন্দাঝোরা নদীর সঙ্গে একাকার হয়ে ওদলাবাড়ি শহরের বেশ কিছু এলাকাতে ঢুকে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল। বৃহস্পতিবার দিনের বেলায় অবস্থার সামান্য উন্নতি হয়। সেচ দফতর বাঁধ মেরামতির প্রক্রিয়াও শুরু করে। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাত থেকে সিকিমে ফের ভারী বৃষ্টি শুরু হওয়ায় ঘিস নদীতে জলস্তর বেড়ে যায়। নদী সেখানে বাঁধ ভেঙে ওদলাবাড়ির দিকে বইতে শুরু করেছে। তার অভিমুখ ঘোরানোর কাজ চলছিল তা ব্যর্থ করে ফের পূর্ণ স্রোতে ঘিস ওদলাবাড়ির দিকে ঘুরে যায়। এতে শুক্রবার সকাল থেকেই ওদলাবাড়িতে বহু পরিবার ঘর ছাড়া হয়ে রাস্তার ধারে, স্থানীয় স্কুল বাড়িগুলিতে আশ্রয় নিয়েছে। |
|
ওদলাবাড়ির দিপোপাড়ায় বন্যা পরিস্থিতি। ছবি তুলেছেন দীপঙ্কর ঘটক। |
ওদলাবাড়ি পঞ্চায়েতের হিসাব অনুসারে চুইয়াবস্তি, মজুমদার কলোনি, নয়াবস্তির ১৫৯টি পরিবার রয়েছে। এদিন সকালে ৫০ টি’র বেশি পরিবারের বাড়ি জলের তোড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেশ কিছু দুর্গতেরা ত্রাণে পাওয়া ত্রিপল দিয়ে তাঁবু বানিয়ে আন্দাঝোরা নদীর বাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়েছেন। মানাবাড়ি এলাকায় ঘিস নদীর ২০০ মিটার বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। সেখানে শুক্রবার সকাল থেকেই ফের নদীর গতিপথকে ঘোরানোর কাজ শুরু হয়েছে। স্রোতকে নিয়ন্ত্রণ করতে তারজালি দিয়ে বোল্ডার বেঁধে স্পার বানানোর কাজও চলছে। কিন্তু ফের বৃষ্টি হলে কী হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে সেচ কর্তাদের মধ্যে। উত্তরবঙ্গ বন্যা নিয়ন্ত্রণ কমিশনের নির্বাহী সদস্য গৌতম দত্ত বলেন, “আমরা ঘিসের গতিপথকে ঘোরানোর কাজে অনেকখানি সফলতা পেয়েছি। ফের বৃষ্টি না নামলে আগামী ৩ দিনের মধ্যে ঘিস নদীকে সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা যাবে বলে মনে হচ্ছে।” তবে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ডুয়ার্সে ফের ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিকিমের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের প্রধান আধিকারিক গোপীনাথ রাহা। মালবাজারের মহকুমা শাসক নারায়ণ বিশ্বাস বলেন, “বৃষ্টি নামার সতর্কবার্তা পেয়েছি। প্রশাসন সজাগ আছে। দুর্গতদের কাছাকাছি স্কুলবাড়িগুলিতে পাঠানোর কাজও চলছে।” |
|
|
|
|
|