তিন জেলাকে ২০০ কোটি
নদী-বাঁধ তৈরি ও ভাঙন প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ
দী বাঁধ তৈরি ও ভাঙন প্রতিরোধের কাজে কেন্দ্রের থেকে প্রায় ২০০ কোটি টাকা পেতে চলেছে উত্তরবঙ্গের ৩ জেলা। কেন্দ্রীয় সরকারের দুটি পৃথক প্রকল্পে জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, কোচবিহার জেলায় এই বরাদ্দের অনুমোদন মিলেছে বলে জানিয়েছে উত্তরবঙ্গ বন্যা নিয়ন্ত্রণ কমিশন। এরমধ্যে ব্রহ্মপুত্র বোর্ড থেকেই পাওয়া যাবে প্রায় ১৬০ কোটি টাকা. প্রতি বছর উত্তরবঙ্গে বন্যার মরসুমে অর্থের অভাবের কারণে রাজ্যের কর্তারা যে ব্রহ্মপুত্র বোর্ডের দিকে আঙ্গুল তুলতেন, সেই বোর্ড থেকেই ১ বছরের জন্য ১৬০ কোটির বরাদ্দ অভূতপূর্ব বলে দাবি করেছে সেচ দফতর। গত আর্থিক বছরেও যে বোর্ড থেকে উত্তরবঙ্গের তিন জেলায় মাত্র ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ এসেছে সেখানে চলতি বছরে বরাদ্দের পরিমাণ এক লাফে ১৬০ কোটিতে পৌঁছে যাওয়া কী ভাবে সম্ভব হল? উত্তরবঙ্গ বন্যা নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান নারায়ণচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, গত অর্থিক বছরের শেষের দিক থেকেই মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী এবং সেচমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে ব্রহ্মপুত্র বোর্ডের বরাদ্দ বাড়াতে উদ্যোগী হন। মুখ্যমন্ত্রী ও সেচমন্ত্রী দুজনেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বোর্ডের কর্তাদের উত্তরবঙ্গের প্রয়োজনের কথা বোঝাতে শুরু করেন। কমিশনের থেকেও বছর শুরুর আগেই সব কটি নদীকে নিয়ে বিস্তারিত প্রকল্প তৈরি করে ব্রহ্মপুত্র বোর্ডে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী ও সেচমন্ত্রী উত্তরবঙ্গের প্রয়োজনের কথা বোঝাতে পারাতেই বোর্ড থেকে এই বরাদ্দ পাওয়া গিয়েছে। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, দফায় দফায় ব্রহ্মপুত্র বোর্ডের সঙ্গে দিল্লি ও গুহায়াটিতে বৈঠক হয়েছে। মন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্যের পদস্থ কর্তাদের এবং উত্তরবঙ্গ বন্যা নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যানকে ব্রহ্মপুত্র বোর্ডের একাধিক বৈঠকে পাঠানো হয়েছে। সম্প্রতি অরুণাচল প্রদেশের বৈঠকেও যান কমিশনের চেয়ারম্যান। এ বছরে ব্রহ্মপুত্র বোর্ডের বরাদ্দ টাকা তিস্তা, জলঢাকা ছাড়া কালজানি, তোর্সা, সঙ্কোশ, রায়ডাক নদীতে বাঁধ তৈরি, মেরামতি ও সংস্কারের কাজ করা হবে। ইতিমধ্যে কালজানি, তোর্সা, সঙ্কোশ ও রায়ডাক নদীর জন্য ৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়ে গিয়েছে। তিস্তা নদীতে ৪৫ কোটি এবং জলঢাকায় নদীতে ৩৯ কোটি টাকা বরাদ্দ হতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে. ব্রহ্মপুত্র বোর্ডের থেকে এক বছরে এ বরাদ্দ অভুতপূর্ব বলে কমিশন সূত্রে দাবি। ব্রহ্মপুত্র বোর্ডের পাশাপাশি ভারত বাংলাদেশ সাধারণ সীমান্ত প্রকল্পে দার্জিলিঙের শিলিগুড়ি এবং কোচবিহারে নদী ভাঙন ঠেকানোর কাজে প্রায় ৫৪ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে বলে কমিশন জানিয়েছে। সীমান্ত এলাকায় নদী ভাঙন ঠেকাতে এই কেন্দ্রীয় প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ করা হয়। শিলিগুড়ির ফাঁসিদেওয়ায় মহানন্দা নদীর ভাঙন ঠেকাতে ২২ কোটি টাকা এবং কোচবিহারের ধরলা ও কালজানি নদীর ভাঙন ঠেকাতে ৩২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কমিশনের চেয়ারম্যান শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, এই দুই বরাদ্দই বন্যা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হবে। সাধারণ সীমান্ত প্রকল্পের টাকা আসতে শুরু করেছে। মহানন্দা নদীতে এ বার যে কাজ হবে তার যে অনুমোদন গঙ্গা বন্যা নিয়ন্ত্রণ কমিশনের থেকে নিতে হয়, তা পাওয়া গিয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.