দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণ করে ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়ার ঘটনায় শুক্রবার এক দম্পতিকে আটক করল বসিরহাট থানার পুলিশ। তবে মূল অভিযুক্ত ও অপহৃত ছাত্রীর কোনও হদিস পায়নি পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পনেরোর ওই ছাত্রী রেশমা খাতুনের বাড়ি বীরভূমের ইলামবাজার থানার ঘুড়িশা গ্রামে। তাকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে ওমর ফারুক নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। তার বাড়ি বাংলাদেশে। বছর চারেক আগে সে বসিরহাটের ট্যাঁটরায় একটি মাদ্রাসায় ভর্তি হয়। সেখানে সে আবুল হোসেন মণ্ডল ও তহমিনা মণ্ডল নামে এক দম্পতির বাড়িতে থাকত। বসিরহাটের এক কাউন্সিলার তাকে ভারতীয় বলে শংসাপত্রও দেয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। কিন্তু খারাপ স্বভাবের কারণে তাঁরা তাকে এক সময় বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন। এর পরে ওমর বীরভূমে চলে যায় বলে পুলিশ জানিয়েছে। সেখানে ইলামবাজার থানার ঘুড়িশা গ্রামে সাজাহান মণ্ডলের বাড়িতে গৃহশিক্ষক হিসাবে তাঁর মেয়ে রেশমাকে পড়ানোর দায়িত্ব নেয়। গত ২১ অগস্ট দুপুরে নিখোঁজ হয় রেশমা। সেই সঙ্গে নিখোঁজ হয় ওমরও।
২৩ অগস্ট রেশমার পরিবার ইলামবাজার থানায় রেশমাকে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নামে পুলিশ। ইতিমধ্যে ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে রেশমার বাড়িতে ফোন আসে। গাড়ি ব্যবসায়ী সাজাহান মোল্লা টাকা দিতে রাজি হলে ১ সেপ্টেম্বর তাঁকে বলা হয়, বসিরহাটের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে টাকা জমা দিতে। জানিয়ে দেওয়া হয় অ্যাকাউন্ট নম্বরও। ওই নম্বরের সূত্র ধরে শুক্রবার আবুল হোসেন মণ্ডল ও তহমিনা মণ্ডলকে আটক করে পুলিশ। যদিও তহমিনার কথায়, “আমাদের বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার পর ওমর একবার এসেছিল। সেই সময় আমাকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাঙ্কে গিয়ে একটা কাগজে সই করিয়ে নেয়। এখন শুনছি আমার নামে অ্যাকাউন্ট করা হয়েছে।” পুলিশ জানিয়েছে, সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কী ভাবে একজন বাংলাদেশিকে ‘ভারতীয়’ বলে শংসাপত্র দেওয়া হল তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। |