একটি স্কুল পরিচালন সমিতির নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সিপিএম প্রার্থী-সহ দলের নেতা-কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকালে মারধরের ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙড়ের সুন্দিয়া বাজারে। মারে জখম হন সিপিএমের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সাত্তার মোল্লা, দলের ভাঙড় লোকাল কমিটির সদস্য নওয়াব আলি মোল্লা এবং কর্মী নাজির মিস্ত্রি। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনারপুর থানা এলাকার প্রসাদপুর ভাগ্যধর বিদ্যানিকেতনের পরিচালন সমিতির নির্বাচন হওয়ার কথা আগামী ৭ অক্টোবর। শুক্রবার ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন। সকালে সাত্তার মোল্লা, নওয়াব আলি এবং নাজির মিস্ত্রির সঙ্গে ওই সিপিএম প্রার্থীরা স্কুলে মনোনয়ন জমা দিতে যান। তার পরেই গোলমাল বাধে।
সিপিএমের অভিযোগ, দলীয় প্রার্থীদের মারধর করে মনোনয়নে বাধা দেয় তৃণমূল। এ জন্য প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি। সেই সময়ে কিছুটা দূরে সুন্দিয়া বাজারে একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন সাত্তার মোল্লারা। সেই সময়ে কিছু তৃণমূল কর্মী-সমর্থক সেখানে গিয়ে বাঁশ-লাঠি নিয়ে তাঁদের উপরে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। নওয়াব আলি ও নাজিরের মাথা ফাটে। তাঁদের নলমুড়ি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে সিপিএমের পক্ষ থেকে। সাত্তার বলেন, “কোনও প্ররোচনা ছাড়াই তৃণমূলের লোকজন আমাদের উপরে চড়াও হয়। আমাদের প্রার্থীদের ওরা মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেয়।” অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের ভাঙড়-১ ব্লক সভাপতি জাহাঙ্গির খান চৌধুরী। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, “সিপিএমের লোকজনই আমাদের প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেয়। আমাদের কর্মীরা এর প্রতিবাদ করলে ঝামেলা হয়। কিন্তু কাউকে মারধর করা হয়নি। ওরা মিথ্যা অভিযোগ করছে।” অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পূর্ব) কঙ্করপ্রসাদ বারুই। |