ভারতীয় ভাষা পরিষদ সঙ্গীত শাস্ত্রবিদ বহুভাষী লেখিকা মীনা বন্দ্যোপাধায়ের তত্ত্বাবধানে হিন্দির বিস্মৃৃতপ্রায় বৃজ, অবধী এবং ভোজপুরী বুলির পুনরুদ্ধারে সচেষ্ট। কারণ, হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সব কটি বন্দিশের ভাষা এই বুলি ক’টি। পরিষদ হলে সম্প্রতি হয়ে গেল ‘রাগ রস সাহিত্য’ শীর্ষকের প্রশংসার্হ প্রচেষ্টার তৃতীয় পর্ব, যাতে ছিল সাহিত্য-সঙ্গীত আলোচনা গান-এর সুমধুর মেলবন্ধন। গিরিজা দেবী পুরস্কারে ভূষিতা মধুমিতা চট্টোপাধ্যায়ের সুরেলা কণ্ঠে বর্ষাভিত্তিক কাজরী, ঠুমরি, ঝুলা ইত্যাদির সঙ্গে ছিল বন্দিশগুলির সাহিত্যের অন্তর্নিহিত ঐতিহাসিক, সামাজিক ও মনস্তাত্ত্বিক আলোচনা। উপস্থাপনায় মীনা স্বয়ং। সহযোগী শিল্পী ছিলেন তবলায় সুবীর ঠাকুর এবং হারমোনিয়ামে দেবপ্রসাদ দে।
|
বিবেকানন্দের সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে বাসবী বাগচি বেছে নিয়েছিলেন বেশ কয়েকটি রবীন্দ্রসঙ্গীত। শুরুতেই তিনি শোনালেন ‘তোমারেই করিয়াছি জীবনের ধ্রুবতারা’। সুন্দর গায়কির জন্য ইদানীং তিনি বহু অনুষ্ঠানে শ্রোতাদের প্রশংসা পেয়েছেন। এ দিনও ব্যতিক্রম নয়। পর পর ৪টি গানের মধ্যে অন্যান্য গানগুলি ছিল ‘বাদল মেঘে মাদল বাজে’, ‘জানি, জানি তুমি এসেছো এ পথে মনের ভুলে’। ফুটে ওঠে গোপন অভিসারে মানব মন কেমন উদ্বেল হয়ে ওঠে। পরে ‘ছায়া ঘনাইছে’। শিল্পীর কণ্ঠে সেই আকুলতা প্রতিধ্বনিত হয় শ্রোতাদের আবেগেও। শেষ গানটি ছিল ‘আমি কী গান গাব’। |