শুক্রবার ‘লালগোলা চ্যালেঞ্জ কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট’ শেষ হতে না হতেই বহরমপুরে শুরু হয়ে গেল রাজ্য স্কুল ফুটবল প্রতিযোগিতা। রাজ্যস্তরের অনুর্ধ ১৪ বছরের ফাইনাল খেলা শুরু হয়েছে বহরমপুর ব্যারাক স্কোয়ার ময়দানে। গত ৩১ অগস্ট লালগোলা এমএন অ্যাকাডেমি মাঠে শুরু হওয়া ‘লালগোলা চ্যালেঞ্জ কাপ’-এর এ দিন ছিল ফাইনাল।
অষ্টমবর্ষের ওই টুর্নামেন্টের ফাইনাল হয় রামনগর বিজলি সংঘের সঙ্গে চামাপাড়া টাইগার সংঘের। ৮-০ গোলে চামাপাড়া টাইগার সঙ্ঘ জিতে নেয় ‘সব্যসাচী মিত্র উইনার্স কাপ’। রানার্স রামনগর বিজলি সঙ্ঘ পেয়েছে ‘নজরুল ইসলাম রানার্স কাপ’। এ দিনের ফাইনাল খেলা দেখতে প্রবল বর্ষণ উপেক্ষা করে এম এন অ্যাকাদেমি মাঠে মানুষের ঢল নামে।
হেরোইনের নেশা আর সীমান্তের চোরাকারবারে ব্যস্ত লালগোলা। ‘লালগোলা চ্যালেঞ্জ কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট’-এর আয়োজক সংস্থা ‘লালগোলা সঞ্জীবন’-এর সম্পাদক সমীর বিশ্বাস বলেন, “বাংলাদেশের সীমানা লাগোয়া লালগোলার তরুণদের সামনে নানান ধরনে খারাপ জিনিসের হাতছানি রয়েছে। সেই প্রলোভন থেকে নবীন প্রজন্মকে রক্ষা করততে আট বছর আগে ফুটবল প্রতিযোগিতা শুরু। উদ্দেশ্য কিছুটা হলেও সফল হয়েছে।” লালগোলা থানা এলাকার মোট ১২টি দলের মধ্যে প্রথমে যোগ্যতার পরীক্ষা নেওয়া হয়। উত্তীর্ণ ৮টি দলের মধ্যে নকআউট পদ্ধতি খেলা হয়।
রাজ্যের ১৯টি জেলার স্কুলগুলি থেকে অনুর্ধব ১৪ বছরের ছেলেদের বাছাই করে ১৯টি ফুটবল টিম তৈরি করা হয়। তার মধ্যে থেকে প্রাথমিক পর্বের খেলায় বিজিত ৮টি দল নিয়ে বহরমপুরে শুরু হয়েছে ৫৮তম রাজ্য স্কুল ফুটবল টুর্নামেন্ট। সেমিফাইনাল ও ফাইনাল খেলাও হবে বহরমপুরে। শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুরকে ৮-০ গোলে পরাস্ত করে সেমিফাইনালে গেল দক্ষিণ কলকাতা। ‘মুর্শিদাবাদ জেলা কাউন্সিল ফর স্কুল গেমস অ্যান্ড স্পোর্টসে’র সভাপতি শেখ ফুরকান বলেন, “কোয়ার্টার ফাইনালের বাকি ৩টি খেলা এবং দু’টি সেমিফাইনাল খেলা হবে শনিবার। রবিবার হবে ফাইনাল খেলা।” এ দিনের ৮টি গোলের মধ্যে ৫টিই দিয়েছে দক্ষিণ কলকাতার চন্দন দাস।
অন্য দিকে, পুলিশের উদ্যোগে নদিয়ার তেহট্ট মহকুমার ৫টি থানার মধ্যে ‘সর্ম্পক ফুটবল’ খেলা শুরু হয় গত ২ সেপ্টেম্বর। গত বৃহস্পতিবার ফাইনাল খেলায় তেহট্টকে ২-০ গোলে পরাস্ত করে চাম্পিয়ান হয় করিমপুর। |