|
|
|
|
প্রতারক ‘পুলিশ’ শ্রীঘরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
পুলিশ অফিসারের মিথ্যা পরিচয় দিয়ে এক গাড়ি ব্যবসায়ীর থেকে টাকা আদায় করতে এসে হাতেনাতে ধরা পড়ল এক জন। বৃহস্পতিবার রাতে দাসপুর থানার সুজানগর গ্রামের ঘটনা। প্রতারণায় ধৃত বিশ্বজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরেরই ডেবরা থানার পাটনা গ্রামে। শুক্রবার তাঁকে ঘাটাল আদালতে হাজির করা হলে বিচারক ৩ দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
দাসপুরের সুজানগর গ্রামের বাসিন্দা সুনীল মহাপারুর গাড়ি ব্যবসা রয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সেপ্টেম্বর প্রথম সপ্তাহে তাঁর কাছ থেকে একটি গাড়ি ভাড়া করে বর্ধমান গিয়েছিলেন কয়েকজন। সন্দেহ হওয়ায় বর্ধমান পুলিশ গাড়িটি আটক করে। অভিযোগ, চন্দ্রকোনার বাসিন্দা মিনসারুল সরকার নামে এক জনকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ওই গাড়িতে। আনার হুসেন ও বিশ্বজিৎ গড়াই নামে গাড়ির দুই আরোহীকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। ঘাটালের সিআই অসিত সামন্ত বলেন, “সংবাদপত্রে ওই খবর দেখেই বিশ্বজিৎ গাড়ি মালিকের খোঁজ শুরু করেন। কিছু টাকা হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশেই বর্ধমানের সিআই পরিচয় দিয়ে সুনীলবাবুর কাছে ২০ হাজার টাকা চান বিশ্বজিৎ। কিছু টাকা নিয়েও নেন। কিন্তু শেষমেশ তাঁর চালাকি ধরা পড়ে যায়।”
বর্ধমানের সিআই পরিচয় দিয়ে বিশ্বজিৎ গত বুধবার সুনীলবাবুর সুজানগরের বাড়িতে প্রথম আসেন। ২০ হাজার টাকা দিলে আটক গাড়ি নিয়ে সুনীলবাবুর নামে কোনও মামলা হবে না এবং গাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান বিশ্বজিৎ। সেই মতো ওই দিনই তাঁকে ১২ হাজার টাকা দিয়ে দেন সুনীলবাবু। ফের বৃহস্পতিবার বাকি ৮ হাজার টাকা নিতে আসেন বিশ্বজিৎ। তখনই সন্দেহ হয় সুনীলবাবুর। তিনি জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। এলাকার কিছু লোকও জড়ো হয়ে যান। অসংলগ্ন জবাব পেয়ে শুরু হয় মারধর। পুলিশেও খবর দেওয়া হয়। এরপরে দাসপুর থানার পুলিশ এসে বিশ্বজিৎকে গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি, জেরায় জানা গিয়েছে ধৃত যুবক একটি বড় প্রতারণা চক্রের সঙ্গে যুক্ত। আগেও বিভিন্ন সংবাদপত্রের খবর দেখেই কোথাও সিবিআই, কোথাও সিআইডি পরিচয় দিয়ে টাকা আদায় করেছেন বিশ্বজিৎ। দাসপুর থানার ওসি অভিজিৎ বিশ্বাস বলেন, “ধৃতকে জেরা করে আরও তথ্য জানার চেষ্টা চলছে। |
|
|
|
|
|