|
|
|
|
আইএপি’তে ফের ২০ কোটি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
আইএপি-র (ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকশন প্ল্যান) প্রকল্প রূপায়ণে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূয়সী প্রশংসা পেয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা। এ বার আরও ২৮ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকার প্রকল্প মঞ্জুর করল কেন্দ্রীয় সরকার। যার ২০ কোটি টাকা পাঠিয়েও দিয়েছে কেন্দ্র। ওই টাকায় দ্রুত গতিতে প্রকল্প রূপায়ণে পদক্ষেপ করছে প্রশাসন। এ বার বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে পানীয় জল, সেচের উপর। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পরিকল্পনা ও উন্নয়ন আধিকারিক প্রণব ঘোষ বলেন, “এ বারও দ্রুত প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িত করার জন্য পদক্ষেপ করা হচ্ছে। চলতি আর্থিক বছরের মধ্যেই সমস্ত কাজ শেষ করতে লাইন ডিপার্টমেন্টগুলিকে আরও তৎপর হতে বলা হয়েছে।”
মাওবাদী উপদ্রুত পিছিয়ে পড়া জেলাগুলিকে বিশেষ সাহায্য করার উদ্দেশ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার আইএপি খাতে বরাদ্দ করছে। প্রথম থেকেই যোজনা কমিশন একটি কথা পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দিয়েছিল, এই প্রকল্পে ‘চোখে দেখা যায়’ এমন কাজ করতে হবে। অর্থাৎ প্রশিক্ষণ জাতীয় কোনও কাজ করে অর্থ খরচ করা চলবে না। যোজনা কমিশনের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা উন্নয়নের একটি রূপরেখা তৈরি করেছিল। যা শুরু হয়েছিল ২০১০-১১ আর্থিক বছর থেকে। ওই বছরে প্রশাসন ২৫ কোটি টাকা পেয়েছিল। পরের বছর আরও ৩০ কোটি টাকা দেয় জেলা প্রশাসন। ৫৫ কোটি টাকায় ৮৬৯টি প্রকল্প রূপায়ণের পরিকল্পনা নিয়েছিল প্রশাসন। যার মধ্যে ৮৩৮টি প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। বাকি ৩১টি প্রকল্পের কাজ চলছে বলে প্রশাসন জানিয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, শেষ না হওয়া প্রকল্পগুলির কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। আগামী ২ মাসের মধ্যেই কাজগুলি শেষ হয়ে যাবে।
এ দিকে, পুরনো প্রকল্প রূপায়ণের পাশাপাশি নতুন প্রকল্প রিপোর্ট তৈরিরও কাজ শুরু করেছিল প্রশাসন। সেচ, পানীয় জল, স্কুল হস্টেল, কমিউনিটি হল, আইসিডিএস কেন্দ্রের ভবন নির্মাণ, কালভার্ট তৈরির মতো ৪৩৩টি প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। যার আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৮ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা। সেই প্রকল্প রিপোর্ট মঞ্জুর হওয়ার পরেই ২০ কোটি টাকা দিয়েছে সরকার। প্রশাসন সূত্রে খবর, অন্যান্য প্রকল্পের থেকে আইএপি-র কাজ হচ্ছে দ্রুত গতিতে। চলতি আর্থিক বছরে গতি আরও বাড়বে বলেই প্রশাসনিক কর্তাদের অনুমান। কারণ, মুখ্যমন্ত্রীর জঙ্গলমহল সফরের পর সমস্ত দফতরই সক্রিয় হয়ে উঠছে। সম্প্রতি ঝাড়গ্রাম সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক কর্তাদের সাফ জানিয়ে ছেন, দ্রুত গতিতে কাজ করতে হবে। তারই সঙ্গে সমস্ত দায়িত্ব বিডিওদেরই নিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন। ফলে বিডিওরা ইতিমধ্যেই ব্লক স্তরের মনিটরিং কমিটিকে মজবুত করে নিয়েছে। যেখানে সেচ, খাদ্য, বিদ্যুৎ, পানীয় জল, কৃষি, পূর্ত-সহ প্রতিটি বিভাগের আধিকারিকেরা সদস্য হিসাবে রয়েছেন। একই ভাবে জেলাতেও কমিটি রয়েছে। বিভিন্ন দফতরের মধ্যে সমন্বয় বাড়ায় এ বার আরও দ্রুত গতিতে কাজ হবে বলেই সকলের আশা। |
|
|
|
|
|