|
|
|
|
|
|
উত্তর কলকাতা: পাইকপাড়া, ব্যারাকপুর |
দুর্ভোগ চলছেই |
সঙ্কটে সরণি |
বিতান ভট্টাচার্য |
খন্দে ভরা সড়ক। গাড়ির চাপে সেই খন্দ ক্রমশ বাড়ছে। নিকাশিরও বেহাল দশা। নিত্য যানজট লেগে থাকে। সামান্য বৃষ্টিতেই ডুবে যায় ব্যারাকপুরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা সেন্ট্রাল রোড।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সঙ্কীর্ণ সেন্ট্রাল রোড শহরের অন্যতম ব্যস্ত রাস্তা। বিটি রোড, এসএন ব্যানার্জি রোড ও বারাসত রোডের সঙ্গে প্রধান সংযোগকারী সড়ক বলে গাড়ির চাপও বেশি। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খান ব্যারাকপুর কমিশনারেটের সিভিক পুলিশকর্মীরা। রাস্তার ধারের নিকাশি নালার উপরে ঢাকা নেই। অসাবধান হলেই দুর্ঘটনা অনিবার্য। শুধু ছোট গাড়ি চলার কথা থাকলেও আইন ভেঙে বড় গাড়ি চলে বলে অভিযোগ। অফিসটাইমে স্কুলবাস ও ছোট ট্রাকও ঢোকে। যানজটে নিত্যযাত্রীদের নাভিশ্বাস ওঠার যোগাড়। |
|
এই রাস্তাতেই আছে দু’টি স্কুল। দু’পাশে ভর্তি দোকানপাট। পুজোর সময় কেনাকাটির ভিড়ে ভয়ঙ্কর অবস্থা হয়। এই পথ দিয়ে বিটি রোড বা এসএন ব্যানার্জি রোডে যেতে হলে ১৪ নম্বর রেল গেট পেরোতে হয়। রেল গেট অনেক ক্ষণ বন্ধ থাকার জন্য সেন্ট্রাল রোডে তীব্র যানজট হয় বলে অভিযোগ। ব্যারাকপুরের ডিসি ট্রাফিক কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই রাস্তায় যানজটের বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। পুজোর সময় রাস্তাটির দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। এমনিতেই সেন্ট্রাল রোডে পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে।’’
রাস্তাটির নানা জায়গায় গর্ত তৈরি হয়েছে। এলাকার মানুষ জানিয়েছেন, ব্যারাকপুর পুরসভা মাস কয়েক আগে রাস্তাটির সংস্কার করেছিল। কিন্তু বর্ষা আসতেই যে-কে-সেই। গত কয়েক সপ্তাহের টানা বৃষ্টিতে অবস্থা আরও সঙ্গীন হয়েছে। ভারি বর্ষায় রাস্তায় জল জমে যায়। কোথায় গর্ত, কোথায় নর্দমা বোঝাই দায়। তাঁদের অভিযোগ, দায়সারা ভাবে রাস্তা সারানোর জন্যই এই সমস্যা। স্থানীয় বাসিন্দা অমিত চট্টোপাধ্যায়ের কথায়: ‘‘নালাগুলির উপরে কংক্রিটের স্ল্যাব দিলে দুর্ঘটনা এড়ানো যেত।’’ |
|
গাড়িচালকদের অভিযোগ, ভাঙা রাস্তার জন্য গাড়ির ক্ষতি হচ্ছে। পথ পেরোতে সময়ও অনেক বেশি লাগছে। কিন্তু বিকল্প পথে যেতে হলে অনেকটা ঘুরতে হয়। তাই বাধ্য হয়েই এই পথ ব্যবহার করতে হচ্ছে। রাস্তা সারানোর নামে এর আগে বিনা নোটিসে রাস্তা বন্ধ রাখারও অভিযোগ
উঠেছে। পুরসভা সূত্রে খবর, অবিলম্বে রাস্তাটি সারানো হবে। ব্যারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূলের উত্তম দাস বলেন, ‘‘যে ঠিকাদার রাস্তাটি সারিয়েছিলেন, ঠিকমতো কাজ না করায় তাঁর প্রাপ্য টাকা আটকে দেওয়া হয়েছে। ওই ঠিকাদারকেই সেন্ট্রাল রোড মেরামত করার নির্দেশ দিয়েছি। বৃষ্টির জন্য কয়েকটি দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে।’’ |
|
|
|
|
|