|
|
|
|
চাষে ক্ষতি, মন্ত্রীর দ্বারস্থ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
সামান্য বৃষ্টি হলেই জমিতে জল দাঁড়ায়। নষ্ট হয় চাষ। মাথায় হাত পড়ে চাষির। প্রায় প্রতি বছরই এই সমস্যা দেখা দেয় ডেবরার গোলগ্রাম, ভরতপুর, ভবানীপুর, মলিঘাটি-সহ বেশ কিছু গ্রামে। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক রাধাকান্ত মাইতি শুক্রবার জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের সঙ্গে দেখা করে এই সমস্যার কথা জানান। মন্ত্রী বিষয়টি খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন।
অন্য দিকে সমস্যার স্থায়ী সমাধানে তৎপর হয়েছে জেলা প্রশাসনও। বুধবার এলাকায় গিয়ে পরিস্থিতি দেখে এসেছেন জেলা উন্নয়ন ও পরিকল্পনা আধিকারিক প্রণব ঘোষ, জল অনুসন্ধান কেন্দ্রের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র মলয় ঘোষ প্রমুখ। বিধায়কের বক্তব্য, “এ বার স্থায়ী সমাধানের পথ খোঁজার চেষ্টা হচ্ছে।” আর জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী বলেন, “বিধায়ক সমস্যার কথা জানিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্পের অধীনে কোনও প্রকল্প করা যায় কি না, তাও খতিয়ে দেখতে বলেছি। নির্দিষ্ট প্রস্তাব এলে তা দেখে পদক্ষেপ করব।”
শুধু ডেবরা নয়, জেলার নদী সংলগ্ন বেশ কয়েকটি ব্লকেই এই সমস্যা রয়েছে। মেদিনীপুর সদর, কেশপুর, কেশিয়াড়ির বহু এলাকায় সামান্য বৃষ্টিতে খেতে জল জমে। টানা এক-দেড় সপ্তাহ জল নামতেই চায় না। এর ফলে কখনও চাষ শুরু করাই যায় না, কখনও মাঝপথে চাষ নষ্ট হয়ে যায়। অনেক সময় আবার জল নামলেও জমিতে বালি জমে যায়। তাতে চাষের আরও ক্ষতি হয়।
এ ক্ষেত্রে সমাধানের উপায়?
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, জমির পাশে খাল কেটেই এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের পথ খোঁজার চেষ্টা চলছে। ওই খালের জল নদীতে গিয়ে মিশবে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “অনেকে পাম্প বসিয়ে জমির জল বের করে নেন। তবে সেটা সমস্যার স্থায়ী সমাধান হতে পারে না। খাল কেটে বাঁধ দেওয়া হলে জমিতে আর জল জমে থাকবে না।” প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ডেবরার প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি মৌজায় প্রায় প্রতি বছরই চাষের ক্ষেত্রে এই সমস্যা দেখা দেয়। প্রায় ১ হাজার ২০০ একর জমিতে চাষ নষ্টের আশঙ্কা থাকে। গোলগ্রাম, ভরতপুর, ভবানীপুর, মলিঘাটির পাশ দিয়েই চলে গিয়েছে কাঁসাই নদী। ফলে জমিতে জমে থাকা জল দ্রুত নামে না। সমস্যার সমাধানে জল অনুসন্ধান কেন্দ্রকে একটি প্রকল্প রিপোর্ট তৈরির কথা বলা হয়েছে। ওই রিপোর্ট তৈরি হলে তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। |
|
|
|
|
|